দিন যত গড়াচ্ছে ততই জনপ্রিয়তা বাড়ছে স্টার জলসার (Star Jalsa) ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela) সিরিয়ালের। টিআরপি তালিকায় সেভাবে জায়গা করতে না পারলেও দর্শকের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে এই সিরিয়াল। পরকীয়া এবং সাংসারিক কূটকাচালির বাইরে গিয়ে একেবারে বাস্তব প্রতিচ্ছবিকে তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিয়ালে।
এই সিরিয়ালের মূল আকর্ষণ এখন নায়ক নায়িকা মৌ এবং ডোডোর সম্পর্কের রসায়ন। এই মিষ্টি জুটি পাকাপাকি ভাবে মনে জায়গা করে নিয়েছে দর্শকের। আর সে কারণেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই জুটি। অনুরাগীরা ভালোবেসে এই জুটির নাম দিয়েছে ‘ মৌঝড়’।
এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা জানেন যে, বর্তমানে বাংলা সিরিয়াল জগতে যে কয়েকটা ধারাবাহিক দেখা যাচ্ছে তা থেকে একেবারেই আলাদা মেয়েবেলা। ইতিমধ্যেই ১০০ পর্ব ছুঁয়ে ফেলেছে এই সিরিয়াল। এক ছাদের তলায় থাকতে থাকতে সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গিয়েছে নায়ক নায়িকার।
চাঁদনীর সঙ্গে প্রায় ১২ বছরের সম্পর্ক ছিল ডোডোর। বিয়েও এক প্রকার পাকাপাকি হয়ে গেছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সবকিছুই বদলে যায়। চাঁদনী নয় বরং মৌয়ের সিঁথিতেই সিঁদুর পরিয়ে দেন নির্ঝর। পরিস্থিতির চাপে পরে এই বিয়ে হলেও স্ত্রী এর প্রতি কখনই অবহেলা করতে দেখা যায়নি ডোডোকে।
অভিনেতার চরিত্রের এই বৈশিষ্ট্যই বেশি পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। যদিও বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে মৌয়ের প্রতি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ডোডো। আর তা বুঝতে পেরেই তাদের মাঝখানে ঢোকার চেষ্টা করছি চাঁদনী। যদিও এই কদিন মৌয়ের সঙ্গে থাকতে থাকতে তার সরল মনটাকে ভালোবেসে ফেলেছে গল্পের নায়ক।
ইতিমধ্যেই মৌয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ডোডোর। সুন্দরভাবে প্রতিটি পর্বে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে তাদের প্রেম কাহিনী। যা খুব সহজেই মনে জায়গা করে নিচ্ছে দর্শকবৃন্দের। আর সে কারণেই এই সিরিয়াল দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন দর্শক।