ট্রেড অ্যানালিস্টরা যতটা খারাপ ফলাফল আশা করেছিল তার চেয়েও খারাপ ফল করল জাহ্নবী কাপুরের ‘মিলি’। গত ৪ নভেম্বর সেলুলয়েডে মুক্তি পেয়েছে সারভাইভাল ড্রামা ‘মিলি’। মিলির ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পরই এই ছবি ঘুরে দর্শকের মধ্যে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল বটে কিন্তু ছবি মুক্তির পর দেখা গেল তার উল্টো চিত্র। প্রথমদিনের বক্স অফিস কালেকশন মাত্র ৪৫ লক্ষ টাকা।
ট্রেলার যতটা আকর্ষণীয় ছিল সেই উত্তজনাকে মোটেই ধরে রাখতে পারল না জাহ্নবী কাপুরের ‘মিলি’। বক্স অফিস কালেকশন রীতিমত হতাশাজনক। এখানে বলে রাখি ‘মিলি’ ছবিটি আসলে একটি মালায়ালম ছবির রিমেক। মূল ছবির নাম ‘হেলেনা’, যা মুক্তি পেয়েছিল ২০১৯ সালে। ছবিটি মূলত একটি সারভাইভাল ড্রামা, যেখানে একজন নার্সিং স্টুডেন্ট ফ্রিজারে আটকে যায়।
সূত্রের খবর, যিনি ‘হেলেনা’ ছবি পরিচালনা করেছিলেন সেই তিনিই জাহ্নবীর এই ছবির পরিচালকের কাজ করেছেন। আসলে ‘হেলেনা’র সাফল্যর পর পরিচালক মাথুকুট্টি জেভিয়ার চেয়েছিলেন ছবিটিকে বড়ো বাজেটে তৈরি করতে। যাতে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে এই গল্প। কিন্তু ‘মিলি’র মধ্যে সেই শিহরণ দেখা গেল কই? দ্বিতীয় দিনের শেষেও লক্ষ্মীর দেখা নেই।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ছবি মুক্তির দ্বিতীয় দিনের কালেকশন টেনেটুনে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এইভাবে ছবির মোট বাজেট উঠবে কি না তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে সবার। এমতাবস্থায় আগামী রবিবার অর্থাৎ ছুটির দিনে মিলি দর্শককে হলমুখী করতে পারবে কিনা সেটাই এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’ বা ‘গুডলাক জেরি’র পর, কেরিয়ারের শুরুর দিকে এই ছবি নির্বাচন অবশ্যই জাহ্নবীর সাহসী পদক্ষেপ। কিন্তু এতকিছুর পরেও কোথাও যেন একটা খামতি থেকে গেছে। নিঃসন্দেহে এই ছবি জাহ্নবীর কেরিয়ারের সবচেয়ে সেরা ছবি। তবে পোক্তা অভিনেত্রী হতে গেলে আরো পথ বাকি আছে তার। দর্শকদের সিটে বসিয়ে রাখার জন্য যে দক্ষতা থাকা দরকার তা এখনও মিসিং।
মিলির লড়াইয়ের হালককিকত যে খারাপ তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই। পাশাপাশি আরো একটি ছবি ধুঁকছে বক্স অফিসে। সূত্রের খবর। সোনাক্ষী সিনহা আর হুমা কুরেশির ‘ডবল এক্সেল’ ছবিটির অবস্থাও নাকি তথৈবচ। সেই তুলনায় একটু ভালো জায়গায় রয়েছে ক্যাটরিনা কাইফের ‘ফোন ভূত’। বক্স অফিস আয়ের নিরিখে আপাতত বড় অঙ্কের ব্যবধানে জাহ্নবীকে গোল দিয়েছে অভিনেত্রীর প্রাক্তন ঈশান।