নিউজশর্ট ডেস্কঃ পাহাড়ে যেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই একাধিক পাহাড়ি জায়গা রয়েছে যা বেশ সুন্দর মনমুগ্ধকর। তবে ভারতে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলো কম খরচেই যাওয়া যেতে পারে, আর একেবারে গেলে মনে হবে যেন অন্য পৃথিবীতে চলে এসেছেন। চলুন আজ আপনাদের ভিড়ভাট্টা থেকে দূরে ভারতের মধ্যে থাকা মিনি সুইজারল্যান্ড (Mini Switzerland of India) এর খোঁজ দেব এই প্রতিবেদনে। যেখানে টুরিস্টের সংখ্যা কম হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একেবারে আনলিমিটেড।
ভারতের মিনি সুইজারল্যান্ড
সারাবছরই খাজিয়ারে পর্যটক আসতে থাকে। তবে যদি বরফ দেখতে চান তাহলে আপনাকে ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসে আসতে হবে। আর যদি গরম থেকে বাঁচতে চান তাহলে মার্চ থেকে জুন নাগাদ চলে আসতে পারেন। তবে যদি আপনি কম বাজেটে ঘুরতে পছন্দ করেন তাহলে অক্টবর থেকে নভেম্বর হল সেরা সময়। এই সময় একদিকে যেমন পর্যটকের ভিড় খুবই কম থাকে তেমনি হোটেলের ঘরভাড়াও অনেকটাই কমে যায়। তাছাড়া অনেক বাঙালি পুজোর ছুটিতে প্ল্যান করেন তাদের জন্য এটা সারাজীবন মনে রাখার মত ভ্রমণ হতে পারে।
পাহাড়ি রাস্তা এঁকেবেঁকে চলে যখন খাজ্জিয়ার পৌঁছাবে তখন চোখের সামনেই দেখতে পাবেন সুইজারল্যান্ড। লম্বা দেবদারু গাছের জঙ্গলের মাঝে একটুকরো সমতলভূমি। এরই মাঝে রয়েছে একটা ছোট্ট ঝিল। বিশেষ করে কাপলদের জন্য এই জায়গা একেবারে পারফেক্ট হানিমুন ডেস্টিনেশন বলে যেতেই পারে। তাছাড়া এখানেই রয়েছে খাজ্জীনাথ মন্দির। এই মন্দিরের নামেই জায়গাটির নাম হয়েছে খাজ্জীযার। মন্দিরটি নাগদেবতার উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়েছিল দ্বাদশ শতাব্দীর সময়ে। মন্দিরে নাগদেবের মূর্তি ছাড়াও পঞ্চ পাণ্ডবের ছবি দেখা যাবে।
কিভাবে পৌঁছাবেন খাজ্জিয়ার?
আপনি যদি ঝটপট খাজিয়ার পৌঁছাতে চান তাহলে আপনাকে প্লেনে পাঠানকোট এয়ারপোর্টের ফ্লাইট নিতে হবে। বা প্রথমে আপনাকে ট্রেনে দিল্লি পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে চাক্কি ব্যাঙ্ক রেল স্টেশন পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে আপনি শেয়ার বা প্রাইভেট গাড়িতে একটা দিন ডালহৌসিতে থেকে আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখে নিতে পারেন। নাহলে সোজাই খাজ্জিয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন। তবে যাওয়ার পথে দুদিকের পাহাড়ি গাছের সৌন্দর্য চোখ জুড়িয়ে দেবে।
আরও পড়ুনঃ সবুজে ঘেরা গ্রাম্য পরিবেশ থেকে এলাহী খাওয়া দাওয়া!রইল কলকাতার কাছেই সেরা ৪ রিসর্টের হদিশ
কোথায় থাকবেন?
খাজ্জিয়ারে পৌঁছানোর পর একাধিক হোটেল রয়েছে সেখানেই থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। একইসাথে খাবারের হোটেলও রয়েছে। সাথেই দেখতে পাবেন খাজিনাথ মন্দির। এখানে ৮০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে থাকার জন্য ভালো হোটেল পেয়ে যাবেন। এছাড়া যদি এলাহীভাবে কয়েকটা দিন কাটাতে চান তাহলে বেশ কিছু রিসর্টও রয়েছে।