পার্থ মান্নাঃ যতদিন যাচ্ছে ততই রজার প্রকোপ যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ। তাই প্রতিটা মানুষেরই একটা স্বাস্থ্যবীমা বা হেলথ ইন্সুরেন্স থাকা উচিত। তাছাড়া একাধিক রিপোর্ট সাক্ষী আছে মধ্যবিত্ত পরিবারে একটা মেডিক্যাল এমার্জেন্সি মানেই সমস্ত সেভিংস খরচ করে রাস্তায় দাঁড়ানোর মত পরিস্থিতি তৈরী হয়। সব মিলিয়ে দেশবাসীর জন্য হেলড ও লাইফ ইন্সুরেন্স অতন্ত্য প্রয়োজনীয়।
স্বাস্থ্য ও জীবন বীমার থেকে GST প্রত্যাহারের দাবি মন্ত্রিগোষ্ঠীর
তবে অত্যাবশকীয় জিনিস হলেও স্বাস্থ্য বীমা ও জীবন বীমাতে GST দিতে হয়। এককালীন পেমেন্ট হোক বা প্রিমিয়াম সব ক্ষেত্রেই জিএসটি দিতে হয়। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হেলথ ইন্সুরেন্স ও জীবন বীমার পেমেন্টের ক্ষেত্রে এই জিএসটি তুলে নেওয়া হতে পারে। যদি সেটা হয় তাহলে লক্ষ নয় কয়েক কোটি মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ অর্থাৎ শনিবারেই এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মন্ত্রীরা। যেখানে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে হেলথ ইন্সুরেন্স ও জীবন বীমার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দিয়ে এই ক্ষেত্রগুলি থেকে জিএসটি তুলে নেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এর আগেও জুলাই মাসের শেষে দিকে স্বাস্থ্য বীমা ও জীবন বীমার প্রিমিয়ামের উপর থেকে জিএসটি তুলে নেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি।
৫ লক্ষের নিচের স্বাস্থ্য ও জীবন বীমায় থাকবে না কেন জিএসটি!
এরপর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামানকে চিঠি লেখেন এই মর্মে। চিঠিতে এমন গুরুত্বপূর্ণ বীমার ক্ষেত্রে কেন জিএসটি থাকবে সেই নিয়ে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার জানা যাচ্ছে এই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যেই নাকি সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে মন্ত্রিগোষ্ঠীর তরফ থেকে।
যেমনটা জানা যাচ্ছে, মন্ত্রীদের একাংশের মতে, প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও জীবন বীমার প্রিমিয়ামের উপর থেকে জিএসটি পুরোপুরি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর বাকিদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার ক্ষেত্রে জিএসটি তুলে নেওয়া হবে আর ৫ মুখের বেশি টাকার বীমা হলে ১৮% জিএসটি বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিন বৈঠক শেষে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জানান, ‘সাধারণ মানুষের যাতে সুরাহা হয় তার পক্ষেই সওয়াল করেছে মন্ত্রীরা। বিশেষ করে প্রবীণদের কথা তুলে ধরা হয়েছে। আমরা জিএসটি কাউন্সিলকে রিপোর্ট পাঠাব, এরপর তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’ আগামী নভেম্বর মাসেই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। তাই হয়তো সেই বৈঠকের পরেই সুখবর মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।