নিউজশর্ট ডেস্কঃ জুলাইয়ের শেষ থেকেই অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আবহাওয়া বদলের কারণে কমবেশি প্রতিটা ঘরেই জ্বর-সর্দি লেগেই রয়েছে। এমন অবস্থায় কেউ ডাক্তার দেখিয়ে তো কেউ লোকাল দোকানে কথা বলেই অসাধ্য কিনছেন ও খাচ্ছেন। আর ব্যাথা নিয়ে তো আলাদা করে কিছু বলারই নেই হাত, পা, মাথা থেকে কোমর বয়স হলেই ব্যাথার ওষুধ খেতে হচ্ছে প্রায় সকলকেই। কিন্তু জানেন কি গত বৃহস্পতিবার ১৫৬টি ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
১৫৬ টি ওষুধ ব্যান করল কেন্দ্রীয় সরকার!
যেমনটা জানা যাচ্ছে ফিক্স ডোজ কম্বিনেশন ওষুধ (FDC) এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ এই ধরণের ওষুধ মানুষের শরীরে ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশনের মানে কি? সহজে বলতে গেলে একটি ওষুধের মধ্যেই যদি একাধিক ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান মিশিয়ে বিক্রি করা হয় সেগুলিকে FDC ওষুধ বা ককটেল ওষুধ বলা হয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ ব্যাথা কমানোর ওষুধে অ্যাসিক্লোফেন্যাক ৫০ এমজি + প্যারাসিটামল ১২৫ এমজি মেশানো থাকে। যেটা দুটো আলাদা শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘বাজারে যেখানে এই ধরণের ওষুধের নিরাপদ বিকল্প উপলব্ধ রয়েছে সেখানে ককটেল ওষুধ ব্যবহার করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট, ১৯৪০এর ধারা ২৬ এ অনুযায়ী এই ফিক্সড ডোজ ওষুধের উৎপাদন, বিক্রি নিষিদ্ধ করা উচিত।
তাই এখন থেকে এই ধরণের ওষুধ কেনার আগে দেখে নেওয়াটাই শ্রেয়। সেক্ষেত্রে ওষুধের দোকানে গিয়ে ট্যাবলেট / ক্যাপসুলের গায়ে লেখা ওষুধের উপাদান পড়লেই আপনি বুঝতে পেরে যাবেন। কোন কোন ওষুধ বাতিল করা হয়েছে, তার তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
বাতিল হওয়া ককটেল ওষুধের তালিকা
- মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন
- সেটিরিজাইন এইচসিএল + প্যারাসিটামল + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল
- লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল
- প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন
- ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই সুখবর পেল লক্ষাধিক সিভিক ভলিন্টিয়ার, বোনাস বৃদ্ধির ঘোষণা করল নবান্ন
প্রসঙ্গত, এই তালিকার মধ্যে বেশ কিছু ওষুধ আছে যা বিভিন্ন নির্মাতা কোম্পানিগুলি অনেক আগেই তৈরী বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরী হয়। তারা জানায় কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমান বা তথ্য ছাড়াই কোল্টেল ওষুধ বিক্রি চলছে। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালের জুন মাসে এই ধরণের ৩৪৪টি ওষুধের মধ্যে ১৪টির বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর এখন সেই তালিকায় যুক্ত হল আর ১৫৬ টি ওষুধ।