টলি-বলি দুই জায়গাতেই রাজত্ব কায়েম করেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) মানেই পুরো প্যাকেজ। অ্যাকশন-রোমান্স-কমেডি কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলি। সমস্ত চরিত্রই যেন তার কাছে জলভাত। ফুটপাত থেকে উঠে গিয়ে এরকম সাম্রাজ্য বিস্তার খুব কম জনই করতে পেরেছেন।
প্রথম সারির পরিচালক প্রযোজক তো বটেই একটা সময় বলিউডের নায়িকারাও মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠত। সেই সময় তার কেরিয়ার নিয়ে যতটা না আলোচনা ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি আলোচনা ছিল অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে।
শ্রীদেবী (Sridevi) থেকে শুরু করে বলি পাড়ার বহু তাবড় তাবড় নায়িকার সাথে নাম জড়িয়েছে মিঠুনের (Mithun Chakraborty)। তবে এই ব্যাপারগুলো তার প্রথম স্ত্রীর বক্তব্যের মতো এতটা আলোড়ন সৃষ্টি করেনি। জেনে অবাক হবেন যে, মাত্র ৪ মাস পরই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায় মিঠুনের। আসুন প্রথমে মিঠুন ও হেলেনার (Helena) সম্পর্কের কথা একটু জেনে নেওয়া যাক।
মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল হেলেনা লুক। হেলেনা ছিলেন একজন মডেল ও অভিনেত্রী। তিনি ‘আও প্যায়ার করে’, ‘দো গুলাব’ এবং ‘সাথ সাথ’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন। এরপর কাজের সূত্রেই মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে আলাপ। সেখান থেকেই প্রেম এবং পরিণয়।
এরপর ১৯৭৯ সালে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু বিয়ের চার মাস পরই মিঠুন চক্রবর্তী ও হেলেনা লুক আলাদা হয়ে যান। এই প্রসঙ্গে হেলেনা বলেন, ‘আমার চার মাসের বিয়ে এখন স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আমি চাই এই বিয়ে আর না টিকুক। মিঠুনই আমার ব্রেন ওয়াশ করেছিলেন এবং আমাকে বিশ্বাস করেছিলেন যে তিনিই আমার এবং আমার জীবনসঙ্গী।’
পরবর্তী সময়ে মিঠুন বলেন, ‘আমি মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে ডিভোর্স চেয়েছিলাম। সে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী হয়ে গেলেও আমি তার কাছে ফিরে যাব না। আমি তার কাছে ভরণপোষণও চাইনি। এটা আমার জন্য দুঃস্বপ্ন ছিল যা এখন শেষ। আশা করি মিঠুন আমাকে নিয়ে কথা বলা বন্ধ করবেন। মিঠুন যেভাবে তার মহিলাদেরকে প্রচারের প্রপস হিসাবে ব্যবহার করে এবং তাদের সাথে যেভাবে আচরণ করে তা আমি ঘৃণা করি।’
