বাংলা ইন্ডাস্ট্রির মহাগুরু যদি কাউকে বলা হয় তাহলে সেটা অবশ্যই ‘মিঠুন চক্রবর্তী’। দীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের। তবে এই মানুষটাকে নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। সত্যি ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি ছবি ‘কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয় তার রেশ গড়ায় ‘প্রজাপতি’ অবধী।
নেটপাড়ার নিন্দুকদের মতে, “বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মিঠুনদাকে নিয়ে যত বিতর্ক..!” তবে বিতর্ক-সমালোচনা যাই হোক না কেন তার ২ টো সিনেমাই বক্সঅফিসে ছক্কা হাঁকিয়েছে। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ এবং ‘প্রজাপতি’।
তারপর ‘সিনেমার সমাবর্তন’ অনুষ্ঠানে বাংলার সেরা অভিনেতার পুরস্কারও ছিনিয়ে নিয়েছেন মহাগুরু। এইদিন মঞ্চে মিঠুনের হয়ে পুরষ্কার গ্রহণ করার সময় দেব বলেন, ‘অন্য কোনও ক্যাটাগরির বিজেতাদের নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’ বলা ভালো এই খোঁচাটা যে কুণাল ঘোষের উদ্দেশ্যেই ছিল, তা বলাই বাহুল্য।
কারণ, নন্দনে প্রজাপতি ঠাঁই না পাওয়ায় রাজ্যের শাসকদলের তরফে মিঠুনের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। এরপর সেই বিতর্ক গড়িয়েছে বহুদূর। এর প্রতুত্যরে গত মঙ্গলবারই পালটা জবাব দিয়েছেন মিঠুন। অভিনেতার কথায়, “চেয়েছিলিস তো আমার টিআরপি নামাতে, মরা অবধি পারবি না!”
আর এবার তো তাঁর ছবি পৌঁছে গেছে অস্কারের দৌড়ে। অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স-এর তরফে অ্যাকাডেমি পুরস্কারে বিদেশি ভাষার সিনেমার বিভাগে মনোনীত হয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। আর তারপরেই আবার যোগ্য জবাব দিলেন মিঠুন।
অভিনেতা বললেন, “সমালোচকদের মুখে যোগ্য জবাব। আন্তর্জাতিক ভারতীয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যে বিচারক ‘কাশ্মীর ফাইলস’কে অশ্লীল এবং প্রচারমূলক সিনেমা বলে অপমান করেছিলেন, উনি আজকে উত্তরটা পেয়ে গেলেন। মানুষ এই ছবিটাকে পছন্দ করেছেন। এটাই তার প্রমাণ।”
এর সাথে তিনি আরো বলেন, “সিনেমাটা যখন অনেক থিয়েটারে দেখানোর অনুমতি পেল না তখন খুব কষ্ট হয়েছিল। তবে এবার অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। ভারতীয় সিনেমা অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মনোনীত সিনেমাদেরও শুভেচ্ছা জানাই। আজ কোনও বিতর্কিত কথা আমি বলব না।”