বলিউড(Bollywood) আর নেপোটাজম(Nepotism) যেন একে অপরের সমার্থক শব্দ। তবে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর(Mithun Chakraborty) ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু অন্যরকম। সন্তানদের যেচে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া তো দূরের কথা, নূন্যতম সুপারিশ টুকুও করেননি তিনি। অন্তত তার ছোট ছেলে নমশীর(Namashi Chakraborty) তো এমনটাই বক্তব্য। সম্প্রতি তো তিনি বলেই দিলেন, ‘একটা সময় মনে হয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে হতে চাই না।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত ‘ ব্যাড বয় ‘ ছবিতে নবাগতা আমরিনের সাথে জুটি বেঁধে বড়পর্দায় পা রাখছেন নমশি। আর সেইজন্য সদ্যই কলকাতা এসেছিলেন তিনি ছবির প্রচার করতে। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। মিঠুন চক্রবর্তী থাকছেন ক্যামিও রোলে। সেখানে সংবামাধ্যমের সামনে অনেক কিছু খোলসা করলেন নমশি চক্রবর্তী।
অভিনেতার কথায়, বলিউডের কোনও তাবড় নামদের তিনি ফোন করতে পারেন না। বলিউডে তাকে নিয়ে সেভাবে কোনও চর্চাও হয় না। অবশ্য এই চর্চাটা হয় না বলেই তার ঘাড়ে কোনো এক্সট্রা বোঝা নেই। তবে মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলের তকমা যখন তার নামের আগে রয়েছে তখন উত্তরাধিকারের বোঝা তো থেকেই যায়। একথায় নমশি চক্রবর্তী বলেন, একটা সময় মনে হয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে হতে চাই না।
নমশি জানান, কলকাতা, রাশিয়া, আমেরিকা, যেখানেই বাবার সঙ্গে গিয়েছেন বাড়তি মনোযোগ পেয়েছেন। যাতে তার নিজের অস্তিত্বের উপরেই প্রশ্ন উঠেছে। তবে এরপর ২০১৬ থেকে শুরু হয় নিজের লড়াই। তবে আড়াই বছর কোনো কাজই তিনি পাননি। নমশি চক্রবর্তীর অকপট স্বীকারোক্তি, বলিউডে ১০০ জন, ১০০০ জন নমশি আছেন, যারা সবদিক দিয়েই তার চেয়ে বেশি উপযুক্ত।
অডিশনে যাওয়ার সময় বাবাকে যখন জিজ্ঞেস করতেন, কোন গাড়ি নিয়ে যাবেন, মিঠুন চক্রবর্তী সোজা নির্দেশ ছিল অটোয় করে যাও, স্ট্রাগল করো। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন কোনও বাড়তি সুবিধা তিনি ছেলেকে দেবেন না। এমনকি ছেলের স্ট্রাগল দেখে তার মা-ও কখনো কোনো সুপারিশ করেননি। আসলে তাদের বাড়িতে এই সুপারিশ করার রেওয়াজটাই যে নেই।
‘এরপর একদিন বাবা বলেন, একদিন ঠিক ভালো কিছু হবে। তারপরই ‘ব্য়ডবয়’-এর প্রস্তাব পাই।’ নমশি জানান, ‘বাবাকে বলেছিলাম তুমি চালচুলোহীন রাজা, বাবা তখন বলেন, এটাই তার গল্প, আমার গল্পটা আমাকেই সাজাতে হবে।’ পাশাপাশি তিনি যে তার বাবার বিরাট বড় ভক্ত সেকথাও জানাতে ভোলেননি, দেখেছেন মিঠুনের সমস্ত ছবি। এমনকি তার দাবি, চার সন্তানের মধ্যে একমাত্র তিনিই বাবার সমস্ত ছবি দেখেছেন।
