কথায় বলে, ‘মিয়া বিবি রাজি তো ক্যা কারেগা কাজী’। অর্থাৎ যেকোনো কাজেই প্রেমিক-প্রেমিকা রাজি থাকলে প্রয়োজন পড়ে না তৃতীয় ব্যক্তির মতামতের। ভালোবাসা হার মানে না কোন কিছুর কাছেই। এই প্রবাদ বাক্য যে কেবলমাত্র একটি বাক্য নয় সে কথাই এবার প্রমাণ করে দিল গিবন। সঙ্গীকে কাছে পেতে এমন কাজ করে বসেছে সে যা জানলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
টানা ১২ বছর ধরে একাই আছে মোমো। নেই কোনও পুরুষ সঙ্গী। একা একাই বেশ সুন্দর দিন কেটে যাচ্ছে তার। কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটে গেল অদ্ভুত এক ঘটনা। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ল মোমো। আর এই ঘটনাই সারা ফেলে দিয়েছে জাপানের চিড়িয়াখানায়।
আসলে মোমো কোন মানুষ নয়। এক স্ত্রী গিবন (Gibbon)। দীর্ঘ ১২ বছর খাঁচায় বন্দি অবস্থাতেই কাটছিল তার জীবন। হঠাৎ করে পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই অন্তঃসত্ত্বা (Pregnancy) হল সে। প্রতিবেদনটা এত দূর পড়ার পর নিশ্চয়ই আপনাদের মনে জেগেছে নানান রকম প্রশ্ন। হয়তো বা ভাবছেন কিভাবে সম্ভব এমনটা। সম্পূর্ণ ঘটনা জানতে হলে অবশ্যই পড়ুন আমাদের এই প্রতিবেদন।
জাপানের (Japan) নাগাসাকির কুজুকুশিমা চিড়িয়াখানায় বিগত ১২ বছর ধরে রয়েছে একটি স্ত্রী গিবন (Gibbon)। আদর করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তার নাম রেখেছে মোমো। এই চিড়িয়াখানায় পুরুষ এবং মহিলা প্রাণীদের রাখা হয় না একসাথে। দুটি খাঁচার মধ্যে লাগিয়ে দেওয়া হয় কার্ডবোর্ড। অথচ এত কিছুর পরেও অন্তঃসত্ত্বা মোমো (Momo)।
বিগত সপ্তাহেই ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট এসেছে মোমোর সন্তানের। আর তা দেখে চক্ষুচড়ক চিড়িয়াখানা কর্মীদের। কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পার্শ্ববর্তী খাঁচায় থাকা ৩৪ বছর বয়সী এক পুরুষ গিবন মোমোর সন্তানের বাবা। কিন্তু কিভাবে সম্ভব হলো দুই গিবনের মিলন? এই প্রশ্নের উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
মোমো এবং ইটো খাঁচার মাঝে রয়েছে ইস্পাতের একটি গারদ। সেই গারোতেই রয়েছে একটি ছিদ্র। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের অনুমান, সেই ছিদ্রের মাধ্যমেই সঙ্গম সম্পন্ন করেছে এই দুই গিবন। যদিও কিভাবে এটি সম্ভব তা কিছুতেই বুঝতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। তবে জানা গেছে আপাতত সুস্থ আছে মোমো এবং ইটোর সন্তান। সযত্নে চলছে তার লালন-পালন।