ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রিতে একসময়ের জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্থান দখল করে রেখেছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Moushumi Chatterjee) । বলিউড (Bollywood) কিংবা টলিউড (Tollywood) সর্বত্রই নিজের অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী। মাঝখানে বেশ কিছুটা সময় তিনি সরে গিয়েছিলেন অভিনয় জগত থেকে। তবে বরাবরই তিনি থাকেন লাইমলাইটে।
শেষবার সুজিত সরকার পরিচালিত ‘পিকু’ ছবিতে দেখা গেছে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে। ২০১৫ সালে এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল বক্স অফিসে। বিগত কয়েকদিন ধরেই তিনি রয়েছেন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে নিজের কেরিয়ার নিয়ে অজানা একগুচ্ছ গল্প শুনিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ।
আর এবার প্রকাশ্যে এলো আরও এক ঘটনা। বরাবরই শান্তশিষ্ট স্বভাবের ছিলেন এই অভিনেত্রী। তবে তিনি রেগে গেলে তাকে আর কেউ সামলাতে পারতেন না। বলি পাড়ার কান পাতলে শোনা যায়, অভিনেত্রীর রাগের মুখে পড়তে হয়েছিল ধর্মেন্দ্রর পুত্র সানি দেওয়ালকে। তাঁর কাছে বকা খেয়ে একেবারে চুপ হয়ে গেছিলেন সানি।
ঘটনা ১৯৯০ সালের। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল রাজকুমার সন্তোষীর পরিচালিত ছবি ‘ঘায়েল’। প্রযোজনার দায়িত্ব সামলে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। এক কথায় বলতে গেলে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এই ছবিটিকে তারকাখচিত ছবি বলা যেতে পারে। আসলে এই ছবিতে দেখা গেছিল রাজ বব্বর, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, সানি দেওয়াল, ওম পুরি, অমরেশ পুরী সহ আরও অনেককেই।
শোনা যায়, নিজের কেরিয়ার জীবনে কখনই অপেশাদার আচরণ পছন্দ করতেন না মৌসুমী। আর সে কারণেই একবার সকলের সামনে সানি দেওয়ালকে ধমক দিয়েছিলেন তিনি। আসলে প্রতিদিন সকাল ন’টা নাগাদ সকলেই পৌঁছে যেতেন সেটে। একমাত্র পৌঁছাতে না সানি। পরিচালক তার খুব কাছের হওয়ার কারণে সেভাবে কখনই বকাঝকা করতেন না অভিনেতাকে।
তবে খুব বেশিদিন চুপ করে থাকতে পারেনি মৌসুমী। একদিন ধমক দিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিনয় জগতে থাকা উচিত নয় তোমার। তুমি বরং পাঞ্জাবে গিয়ে চাষবাস করো’। মৌসুমীর কাছে ধমক খেয়ে একেবারে চুপ হয়ে গেছিলেন অভিনেতা। বহুবার ক্ষমাও চান তিনি।