নিউজশর্ট ডেস্কঃ এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের অন্যতম ধনী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছে মুকেশ আম্বানির(Mukesh Ambani) নাম। সবসময় মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবার খবরের শিরোনামে থাকেন। যদিও এর পাশাপাশি ভারতের অন্যতম দুই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব রতন টাটা(Ratan Tata) এবং গৌতম আদানির(Gautam Adani) নাম নিয়েও চর্চা কিন্তু কম হয় না। এদের মধ্যে থেকেও মুকেশ আম্বানিকে নিয়ে চর্চা একটু যেন বেশি হয়।
এর কারণ হলো তার বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, তার নিত্যনতুন ব্যবসা, রিলায়েন্স জিও এবং প্রাসাদততম অ্যান্টিলিয়া। আর এই আম্বানি পরিবারকে নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের যেন শেষ নেই। বিশেষত আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়াকে নিয়ে যে কোন মানুষের মধ্যেই এক উত্তেজনা কাজ করে। কিন্তু এই বাড়ির কাছেও ভারতের একটি বাড়ি রয়েছে যেটি হেরে যায়। শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্যি।
ভারতে এমন একটি বাড়ি রয়েছে যেটি দেখলে আপনি নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারবেন না। এক কথায় বলতে গেলে এটি বাড়ি নয় বরং এক রাজপ্রাসাদ। ভারতের বুকে গড়ে উঠেছে ইংল্যান্ডের মত বিখ্যাত বাকিংহাম প্যালেস। আর এই প্রাসাদতম বাড়িটির নাম হল লক্ষী বিলাস(Lakshmi Vilas)। শুনতে অবাক লাগলেও এই বাড়ি এতটাই বড় যে মুকেশ আম্বানির আন্টেলিয়া এবং বাকিংহাম প্যালেসের কাছে একেবারেই চুনোপুঁটি।
আয়তনের দিক থেকে প্রায় ৭০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে এই বাড়িটি। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি ক্রিকেট গ্রাউন্ড তৈরি হয়ে যাবে। এই লক্ষ্মী নিবাসকে সবচেয়ে বড় বাসভবন হিসেবে তকমা দেওয়াই যায়। এবার প্রশ্ন হল এই বাড়িটি কার? কে তৈরি করেছেন এই বাড়িটি? লক্ষ্মী নিবাসের প্রতিষ্ঠাতা হলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের রাজবংশ ভদোদরার গায়কওয়ার ছিলেন। একসময় এই পরিবারে বরোদা শাসন করত।
যদিও স্বাধীনতার পরে ভারবর্ষ থেকে রাজতন্ত্র প্রথা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়েও এখানকার মানুষ তাদেরকে রাজ পরিবারের সদস্য বলেই মনে করে। কি কি আছে এই প্রাসাদে? এই প্রাসাদে মতিবাগ ক্রিকেট গ্রাউন্ড রয়েছে। এমনকি সুইমিং পুল, ক্লাব হাউস, জিম এবং গলফ কোর্সের মত সুবিধা পাওয়া যাবে এই প্রাসাদের ভেতরে। এছাড়া এখানে বেশ কিছু সিনেমার শুটিং হয়েছে যেই তালিকায় রয়েছে প্রেম রোগ, সর্দার গাব্বার সিং, গ্র্যান্ড মাস্তি।
এখানে একটি বড় বাগানও রয়েছে। যেখানে বড় বড় ঝর্ণা রয়েছে। এখানে অস্ত্রাগার এবং ভাস্কর্যগুলির একটি সংগ্রহও আছে।এখন একটি পর্যটন স্থান হিসেবে এই প্রাসাদকে ব্যবহার করা হয়। এই প্রাসাদের একটি ছোট অংশ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার খরচ করতে হবে ১৫০ টাকা। আপনি চাইলে বিয়ের জন্য এই প্রাসাদটি বুক করে নিতে পারেন। এই প্রাসাদের ভেতরে অনেক আলাদা আলাদা ভবন রয়েছে। এখানে মতিবাগ প্রাসাদ, মকরপুরা প্রাসাদ, প্রতাপ বিলাস প্রাসাদ এবং মহারাজা ফতেহ সিং যাদুঘর এগুলো আছে। তবে লক্ষীবিলাস প্রাসাদে ছবি তোলা নিষিদ্ধ আছে।