নিউজ শর্ট ডেস্ক: প্রায় সারা বছরই হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই পাহাড়ি অঞ্চলে একবার ঘুরতে গেলে ফিরতে মন চাইবে না আর। যদিও এটাও ঠিক বেশিরভাগ পর্যটকরা শুধু কসৌল (Kasoul) এবং মানালি (Manali) ঘুরেই ফিরে আসেন। তবে এখনকার চাম্বারও নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আসলে চাম্বা (Chamba) হিমাচল প্রদেশের এমন সুন্দর একটি শহর, যেখানে না গেলে হিমাচল প্রদেশ ভ্রমণ এককথায় অসম্পূর্ণ।
চাম্বা শুধুমাত্র শান্তশিষ্ট আর নিরিবিলিই নয়, এখানকার আবহাওয়াও এক নিমেষে দূর করবে সমস ক্লান্তি। কথিত আছে যে, রাজকুমারী চম্পাবতীর নাম থেকে চাম্বা শহরের নাম হয়েছে। রাভি নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,০০৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও, চম্বা বিভিন্ন প্রাচীন স্থাপত্যের আবাসস্থল। সবমিলিয়ে চাম্বা মানে এককথায় স্বর্গ। এর আশেপাশে এমনও অনেক জায়গা আছে, যা খুশি করবে মনকে।
খাজ্জিয়ার
হিমাচল প্রদেশের একটি বিখ্যাত হ্রদ হল খাজ্জিয়ার। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসই হল এই খাজ্জিয়ার লেক দেখার আদর্শ সময়। এই সময় এখানকার আবহাওয়া থাকে খুবই মনোরম। ইঁট-কাঠ-পাথরের শহুরে জীবন থেকে দূরে নির্জনে সময় কাটানোর জন্য এই খাজ্জিয়ার লেক এককথায় আদর্শ। এই খাজ্জিয়ার লেকের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল ‘ভাসমান দ্বীপ’, যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুন: পুরো বদলে যাবে বাংলার এই ১৭টি স্টেশনের লুক! কেমন দেখতে হবে দেখুন ছবি?
চামুন্ডা দেবীর মন্দির
ধর্মশালা থেকে ১৫ কিমি দূরে অবস্থিত, চামুন্ডা দেবী মন্দির চাম্বার দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। বানের নদীর তীরে অবস্থিত এই চামুন্ডা দেবীর মন্দিরের ওপর হিন্দুদের গভীর বিশ্বাস রয়েছে। সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি, এই মন্দিরটি ১৭৬২ সালে রাজা উমেদ সিং তৈরি করেছিলেন।
কালাটোপ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
কালাটোপ হিমাচল প্রদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত অভয়ারণ্য। যা খাজ্জিয়ার এবং ডালহৌসির মধ্যে অবস্থিত। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী মানুষদের
ট্রেকিংয়ের জন্যও আদর্শ জায়গা এই অভয়ারণ্য। এখানে গেলে শেয়াল, লঙ্গুর, সেরো, চিতাবাঘ, হিমালয়ান ব্ল্যাক মার্টেন, হরিণ এবং ভালুক দেখতে পাওয়া যাবে।
ভূরি সিং মিউজিয়াম
শুধু চম্বা নয় গোটা হিমাচল প্রদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র এই ভূরি সিং মিউজিয়াম। এখানেই রয়েছে পোশাক, অস্ত্র, মুদ্রা, রাজকীয় গহনা, দুর্লভ চিত্রকর্ম, শারদা লিপি, খোদাই করা দরজা, তামার প্লেট, স্মারক পাথর, বাদ্যযন্ত্র, ফ্রেস্কো, গুলের-কাংরা পেইন্টিং সহ আরও অনেক কিছু। এই মিউজিয়ামটি সোমবার ছাড়া সব দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
আরও পড়ুন: শাহজাহান কোন হিন্দু রাজার জমিতে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন? উত্তর চমকে দেবে
লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির
এটি চম্বার প্রাচীনতম মন্দির। একাদশ শতকে এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন রাজা সাহিল বর্মা। এখানে প্রায় ছয়টি মন্দির রয়েছে, যা ভগবান শিব ও বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত। ভগবান বিষ্ণুর প্রধান মূর্তিটি বিরল মার্বেল দিয়ে তৈরি। আমরা আপনাকে বলি যে এই মার্বেলটি বিন্ধ্য পর্বতে পাওয়া যায়। আপনি যদি মন্দির দেখতে যাচ্ছেন, তাহলে জেনে নিন মন্দির দিনে দুবার খোলে। সকাল 6 টা থেকে 12.30 টা এবং তারপর 2.30 টা থেকে 8.30 টা পর্যন্ত।