নিউজশর্ট ডেস্কঃ মোটা টাকা রিটার্নের আশায় এখন বহু মানুষ এসআইপি বা মিউচুয়াল ফান্ডে(Mutual Fund) অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন। তবে বেশি লাভ করতে গিয়ে যদি আপনি ভুলভাল কোন ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ করেন। তাহলে আপনার কষ্টের টাকা ডুবে যেতে পারে। তাই এসআইপি করার সময় এই ৬ টি ভুল এড়িয়ে চলুন। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে এসআইপি সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করবো।
১) কোন কোন ফান্ডে টাকা রাখবেন? সাধারণত খুচরা বিনিয়োগকারীরা মিউচুয়াল ফান্ডের বিষয়ে পুরো বিষয় না জেনে এসআইপিতে অর্থ বিনিয়োগ করেন। তবে দীর্ঘমেয়াদে লাভ যদি করতে চান তাহলে সিস্টেমেটিক ইনভেসমেন্ট প্ল্যানে বিনিয়োগ করুন। মিউচুয়াল ফান্ডে শুধুমাত্র ইকিউটি নয়, আপনি চাইলে ঋণ কিংবা দুটোরই মিশ্রণে বিনিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগেও বিষয়টি পুরোপুরি দেখে নিন।
২) কোন স্কিমে টাকা রাখবেন তা আগে ঠিক করুন: আপনি এসআইপিতে বিনিয়োগ করার আগে কোন স্কিমে টাকা রাখবেন সেটা আগে বেছে নিতে হবে। আপনার আর্থিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সঠিক মিউচুয়াল ফান্ড বাছতে হবে। এর কারণ হলো বাজারে তাদের হোল্ডিং এবং ঝুঁকির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন এফএফ স্কিম রয়েছে। এমন কিছু স্কিম রয়েছে যেগুলোতে উচ্চ ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছুতে খুব উচ্চ ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে। আবার কোনটাতে মধ্যম ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে. তাই অর্থ বিনিয়োগের আগে আপনি কোনটি বেছে নেবেন তা জেনে নিন।
আরও পড়ুন: SIP: লোভে পড়ে শুধু বিনিয়োগ নয়, কখন একটি SIP বন্ধ করা উচিত? না জানলে ডুবে যাবে সব টাকা!
৩) ফান্ড ম্যানেজার কে সেটি দেখে নিন: মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমগুলোকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করার পরে এটির ফান্ড ম্যানেজারের অতীতের রেকর্ড দেখে নেওয়া উচিত। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনার পুরো টাকায় এটির বিনিয়োগের উপর নির্ভর করে থাকবে। এই ফান্ড ম্যানেজার আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার অর্থ বিভিন্ন স্টক এবং ফিনান্সিয়াল প্লাটফর্মে ছড়িয়ে দেবে।
৪) ফান্ডের হোল্ডিং কোন কোন কোম্পানিতে আছে জেনে নিন:
আপনার তহবিলের হোল্ডিং কোন কোন কোম্পানিতে রয়েছে সেটি আগে দেখুন। এর মাধ্যমে আপনার কত টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হবে সেটি দেখানো হয়। ধরুন আপনার MF স্কিম এটি ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড হয়ে থাকে। তাহলে আপনার সমস্ত অর্থ বিভিন্ন কোম্পানিতে ইক্যুটিতে বিনিয়োগ করা হবে।
৫) ফান্ডের ফি কত হচ্ছে সেটি জেনে নিন: এক্ষেত্রে ফান্ডের ম্যানেজমেন্ট ফি, লোড ফিগুলোর মত খরচের উপর নির্ভর করে থাকে। এই ফি সময়ের সাথে সাথেই আপনার রিটার্ন বা লাভ কমিয়ে দিতে পারে। তাই কম ব্যয়ের অনুপাত সহ তহবিল বেছে নিন। এর কারণ হলো এগুলোর দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চমূল্যের তহবিলের ছাড়িয়ে যাওয়ার আরো ভালো সুযোগ থাকে।
৬) মার্কেট পড়লেই মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে বেড়িয়ে আসা যাবে না: ফান্ডে বিনিয়োগের আগে বাজারে উঠানামার বিষয়টি সম্পর্কে ভালো করে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। এটির ওপর ভিত্তি করেই আপনার বিনিয়োগ উঠানামা করে থাকে। একটা বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে বাজারের অস্থিরতার সময়ে শান্ত থাকতে হবে এবং আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত এড়িয়ে যেতে হবে।