পার্থ মান্নাঃ দুর্গাপুজো শেষ হলেও বাঙালি উৎসবের মরশুম কিন্তু মোটেই শেষ হয়নি। আর কিছুদিন গিয়ে রয়েছে কালীপুজো। আর অনেক জায়গাতেই কালীপূজোকে বেশ বড়সড় করে পালন করা হয়। বিশেষ করে বারাকপুর, বারাসাত, মধ্যমগ্রামের মত জায়গায় বিশাল বড় করে পালিত হয় কালুপুজো। তাছাড়া নৈহাটির বড়মার পুজো গোটা বাংলায় বিখ্যাত। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা এই দিনে মাকে একনজর দেখার জন্য ভিড় জমান। আপনিও কি এবছর বড়মার দর্শন নিতে চান? চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক পুজোর সময় নির্ঘন্ট।
এবছর কখন পুজো হবে নৈহাটির বড়মার? (Naihati Boro Maa Puja Timing)
আগেই বলেছি নৈহাটির বড়মা এর খ্যাতি আঞ্চলিকভাবে সীমাবদ্ধ নেই। গোটা বাংলা থেকে শুরু করে দেশে এমনকি বিদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে। সেই কারণে স্থানীয় মানুষেরটা তো বটেই দেশ বিদেশ থেকে লক্ষাধিক মানুষ ভিড় জমান। কারণ নৈহাটির বড় মা খুবই জাগ্রত বলে বিশ্বাস করা হয়। মায়ের কাছ থেকে কেউ কোনো দিনও খালি হাতে ফেরেন না। তাই বড়মার পুজোর জন্য রীতিমত অপেক্ষায় থাকেন সকলে।
নৈহাটিতে বড়মার পুজো ছাড়াও একাধিক কালীপুজো হয়। তবে বড় মায়ের পুজো শুরু হলে তারপরেই বাকি পুজো চালু হয়। জানা যাচ্ছে রাত্রি ১১ নাগাদ পুরোহিত মশাই পুজো করতে বসবেন। এরপর ১ টা নাগাদ অঞ্জলি শুরু হবে চলবে রাত্রি ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
এদিন মাকে প্রায় ১০০ ভরি সোনায় ২০০ কেজি রুপার অলঙ্কার দিয়ে সাজানো হবে। এছাড়াও নানান গয়না দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সাজানো হবে। সাথে থাকবে ফুলের সাজ। সব মিলিয়ে মায়ের দিক থেকে চোখ সরানো যায় না। ভক্তিভরে একদৃষ্টে তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছা হবে।
নৈহাটী বড় মা এর পুজো ও ভোগের ব্যবস্থা (Naihati Boro Maa Puja)
লক্ষাধিক ভক্তদের সমাগম সামাল দেওয়ার জন্য এবছর অনেকটা আগে থেকেই পুজোর কাউন্টার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ অর্থাৎ ২৪ তারিখ থেকেই পুজো নেওয়া শুরু হবে। আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত পুজো নেওয়া চলবে। আর ভোগের জন্য এবছর প্রায় ৪০০০ কেজি ভোগ তৈরী কথা ভবা হয়েছে। এতদিন পুজোর পর মন্দির চত্বর থেকেই মায়ের প্রসাদ বিতরণ করা হত। তবে এবছর নৈহাটির মহেন্দ্র স্কুল ও পৌরসভার সামনে প্রসাদের কুপন বিলি করা হবে।
বিসর্জন
আগামী ৪ই নভেম্বর বিসর্জন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ঠাকুর দেখতে যেমন লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয় তেমনি বিসর্জন দেখার জন্যও লক্ষাধিক মানুষের ভিড় জমে। এমনকি অনেকেই গঙ্গায় নৌকা ভাড়া করে অপেক্ষায় থাকেন বিসর্জন দেখার জন্য।