নিউজ শর্ট ডেস্ক: জানলে অবাক হবেন পৃথিবীতে এমনও দেশ আছে যেখানে ভারতের টাকার মূল্য অপরিসীম। সে দেশে ভারতীয় মুদ্রার (Indian Currency) দাম এত বেশি যা শুনলে হয়তো আপনার বিশ্বাস হবে না নিজের কানকেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর বিশ্ব বিখ্যাত এই দেশটি খুব সুন্দর এবং প্রাচীন একটি দেশ, যার ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম।
প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। পৃথিবীর বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে এটি অন্যতম হলেও আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কারণে এর দ্রুত অবনতি হচ্ছে। এই দেশে ভারতের ১ টাকা কমপক্ষে ৫০০ টাকার সমান। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন ইরানে ভারতীয় মুদ্রা এতটাই শক্তিশালী। এখানকার সরকারি মুদ্রাকে রিয়াল-ই-ইরান বলা হয়। যাকে ইংরেজিতে ইরানি রিয়াল-ও (Irani Rial) বলে।
তবে ইরানের মুদ্রার মূল্য কিন্তু একটা সময় বেশ ভালই ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের শুরু থেকে ইরানি রিয়ালের দাম প্রায় পাঁচগুণ কমে গিয়েছে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি। কারণে এদেশে বাড়ছে বেকারত্বের হার-ও। বিগত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারেও আশ্চর্জনকভাবে এর দর কমে গিয়েছে অনেকটাই। যার অন্যতম কারণ, বিশ্বের শক্তিধর দেশ আমেরিকা বহু বছর ধরে এই দেশের ওপর নানা ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাই এখন বিশ্বের কাছে তেল-ও বিক্রি করতে পারছে না ইরান।
তবে ইরানের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোভেঙে পড়লেও ভারতের সাথে কিন্তু তাদের সু-সম্পর্কই রয়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও বর্তমানে ভারতের ১ টাকা ৫০৭.২২ ইরানি রিয়ালের সমান। অর্থাৎ ভারতীয়রা যদি ১০,০০০ টাকা নিয়ে ইরানে যান. তাহলে এই টাকাতেই সেখানে হেসে খেলে বিলাসবহুল ভ্রমণ সম্পন্ন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: SBI-র গ্রীন FD-তে রাখুন টাকা! রিটার্নের পরিমাণ শুনলে চমকে যাবেন
এই দেশে একটি ভাল পাঁচ তারা হোটেলের প্রতি দিনের ভাড়া সর্বোচ্চ ৭০০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু মাঝারি পরিষেবার হোটেলগুলি ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যেও পাওয়া যায়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না ইরানে ডলার রাখা বড় অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু টাকা রাখার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
ইরানের রিয়াল অত্যন্ত প্রাচীন মুদ্রা। যা প্রথম চালু হয়েছিল ১৭৯৮ সালে। কিন্তু ১৮২৫ সালে এই রিয়াল ছাপানো বন্ধ হয়ে যায়। পরে এটি আবার চালু হয়। ২০১২ সাল থেকে রিয়াল দ্রুত পড়তে থাকে আন্তর্জাতিক বাজারে। তবে বর্তমানে তারা শুধুমাত্র তাদের স্থানীয় মুদ্রায় ভারত-সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ব্যবসা করে। আসলে গত কয়েক বছর ধরে ইরান ডলার গ্রহণ করা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু ডলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে সেখানে ডলার পাচারের জমজমাট অবৈধ ব্যবসা চলছে।