আপনি যদি হন কারও প্রেমিকা তাহলে আজকে কি দিবস সেটা আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। ঠিক যেমন প্রেমের জন্য ভ্যালেন্টাইন্স ডে রয়েছে তেমনি প্রেমিক ও প্রেমিকাদের জন্যও রয়েছে একটা গোটা দিন। আজ তেমনই একটা দিন। না জানলে বলি রাখি আজ হল জাতীয় বয়ফ্রেন্ড দিবস (National Boyfriend Day)। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, আজকের দিনটা বিশ্বের সমস্ত প্রেমিকদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে বলা যেতেই পারে।
জাতীয় বয়ফ্রেন্ড ডে কী?
প্রতি বছর ৩ অক্টোবর পালন করা হয় “জাতীয় বয়ফ্রেন্ড ডে”। এই দিনটি আপনার জীবনের প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য এক অসাধারণ সুযোগ। আপনার সঙ্গীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানোর এবং তার ভালোবাসা, সাপোর্টের জন্য তাকে স্পেশাল ফিল করানোর একটা দিন। ছোট্ট সারপ্রাইজ বা একটু বেশি আয়োজনের মাধ্যমে, আপনি আপনার সম্পর্ককে আরও গভীর করতে পারেন।
জাতীয় বয়ফ্রেন্ড ডে-এর ইতিহাস
জাতীয় বয়ফ্রেন্ড ডে এর সঠিক শুরুটা কোথা থেকে তা পরিষ্কার নয়, তবে ২০১০-এর দশকে এটি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। এর আগে থেকেই “জাতীয় গার্লফ্রেন্ড ডে” (১ আগস্ট) পালিত হয়ে আসছিল, আর বয়ফ্রেন্ড ডে তারই একটি সমান্তরাল দিন হিসেবে উদযাপন শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকেই এই দিনে তাদের বয়ফ্রেন্ডদের বিশেষভাবে প্রকাশ করে, আর তা ধীরে ধীরে একটি জনপ্রিয় ট্রেন্ডে পরিণত হয়।
কীভাবে আপনার বয়ফ্রেন্ডকে খুশি করতে পারেন?
প্রতিটা মানুষ আলাদা এবং তাদের পছন্দও আলাদা হতে পারে। তবে যদি আপনি দ্বন্ধে পরে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য কিছু সাজেশন রইল। জাতীয় বয়ফ্রেন্ড ডে ২০২৪ উপলক্ষে আপনার সঙ্গীকে খুশি করার কিছু সহজ এবং মজার উপায় আছে সেগুলি হল
- ব্যক্তিগত উপহার: কাস্টমাইজড ঘড়ি, বা আপনাদের সুন্দর মুহূর্তগুলোর ফটো অ্যালবাম তৈরি করে তাকে উপহার দিতেই পারেন।
- প্রিয় খাবার: কথায় বলে পুরুষ মানুষের মনের রাস্তা তাদের মুখ দিয়েই। তাই তার প্রিয় স্ন্যাকস বা খাবার দিয়ে তাকে সারপ্রাইজ করতে পারেন।
- টেক গ্যাজেট: যদি সে টেক লাভার বা গ্যাজেট প্রেমী হয়, তাহলে স্মার্টওয়াচ বা ওয়্যারলেস হেডফোনের মতো কিছু গ্যাজেট উপহার দেওয়া যেতে পারে।
- দুজনে মিলে একটা সিনেমা দেখতে যাওয়ার প্ল্যান করতে পারেন। হতে পারে কোনো রোমান্টিক ফিল্ম বা যে কোনো আপনাদের পছন্দের সিনেমা।
- প্রেমময় চিঠি: যদিও যুগ পাল্টেছে আর প্রযুক্তির দৌলতে আমরা এখন নিমেষের মধ্যেই ফোনের মধ্যে কাছাকাছি আসতে পারি। তবে তাঁর প্রতি আপনার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি আন্তরিক চিঠি লেখা যেতেই পারে। এতে একদিকে যেমন নস্টালজিয়া ফিল আসবে তেমনি ব্যাপারটাও অনেকটা স্পেশাল হয়ে যাবে।