নিউজশর্ট ডেস্কঃ জি বাংলার (Zee Bangla) দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Modhu) । প্রথম থেকেই টিআরপির (TRP) অবস্থান ধরে রেখেছিল এই ধারাবাহিক। প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহেই এই ধারাবাহিকটিকে টিআরপি তালিকার শীর্ষে অবস্থান করতে দেখা যায়। গত সপ্তাহেও তার অন্যথা হয়নি। সুন্দর অভিনয় এবং নিজের বুদ্ধি দিয়ে দর্শকদের মনে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে ধারাবাহিকের সৃজন-পর্ণা (Srijan-Parna) জুটি।
পর্ণা বর্তমানে ২১ বছরের মেয়ে, স্মৃতি হারিয়ে নিজেকে এমনটাই মনে করছে সে। পর্ণা, সৃজন এবং তাঁর বাকি পরিবারের সদস্যদের সাথে থাকলেও এখন পর্যন্ত কিছুই মনে পরছে না তার। কিছুদিন আগেই ছদ্মবেশে ডাক্তার দেখে গেছে পর্ণাকে। ডাক্তার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এত দিন পর্যন্ত তাদের সাথে থেকে যখন পর্ণার কিছুই মনে পড়েনি, তাহলে পরবর্তীতে স্মৃতি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু স্মৃতি না ফেরায় বেশ কষ্টকর অবস্থায় রয়েছে সৃজন ও বাকিরা। নিজের সবথেকে কাছের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তাকে নিজের বলে দাবি করতে পারছে না সৃজন। তাই দেখে, মোক্ষম চাল দিল কৃষ্ণা।
পর্ণাকে নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত সৃজনের
ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, ছদ্মবেশে ডাক্তার পর্ণাকে দেখতে এলেও, পর্ণার চোখে ধরা পড়ে যান তিনি। এই কারন তা থেকে যে কিছু একটা লুকানো হচ্ছে সেটা বুঝতে পারে পর্ণা। তার কি হয়েছে? সেটা জানার জন্য বারংবার সবার থেকে জানতে চাইলেও, কেউই কিছু জানাই না পর্ণাকে। এমনকি সৃজনও এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যায়। তবে সব কিছু বলে পর্ণা ক্ষতি করার বাসনায় ঘরে আসে সুইটি। কিন্তু সবটা বলে ওঠার আগেই সেখানে চলে আসে সৃজন। অমনি সুইটি কথা ঘুরিয়ে দেয়।
এরপর সৃজন নিচে এসে সুইটিকে বকাবকি করলে কৃষ্ণা বলে, আর কতদিন ওই মেয়েকে আগলে রেখে সৃজন চলতে পারবে? কারণ ওর আর কিছুই মনে পড়বে না। সৃজন যদি ভেবে থাকে সে পর্ণাকে বিয়ে করবে তাহলে সেটাও সম্ভব নয়। তার প্রমাণ দিতে কৃষ্ণা নিজে কথা বলে পর্ণার সাথে। কৃষ্ণা পর্ণাকে প্রশ্ন করে যে, পর্ণা যে সৃজনকে বন্ধুর চোখে দেখে, তা কি শুধুই বন্ধুত্বর? কারন তার এই বন্ধুত্বর জন্য বিবাহিত জীবন সুখের হচ্ছে না। এরপর কৃষ্ণা প্রশ্ন করেন যে, সে কি সৃজনকে বিয়ে করবে? সেখানে পর্ণা স্পষ্ট জানায়, সৃজনকে শুধুমাত্র বন্ধুর চোখে দেখে। তাকে বিয়ে করার কথা কোনদিনও ভাবতেও পারে না। কথাটা শুনে সৃজনের যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ‘হাওড়া ব্রিজে’র দৌলতে পেয়েছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা, কোথায় হারিয়ে গেলেন মোনালিসা?
কৃষ্ণা এরপর সৃজনকে বলে, সে যেন সুইটিকে মেনে নেয়। তাকে নিয়েই যেন সে তার আগামী জীবনটা সাজায়। কারণ এখনো অনেকটা জীবন পড়ে আছে তার সামনে। কিন্তু সৃজন এতে রাজি হতে চায় না। সৃজন বলে, আমি আমার জীবনে শুধুমাত্র একজনকেই ভালোবেসেছি আর এখনো তাকেই ভালোবাসি ভবিষ্যতে তাকেই ভালোবাসবো তার নাম পর্ণা। ওর যদি সারা জীবন কিছু মনে নাও পড়ে তাও আমি ওকে বুকে আগলে রেখেই আমার গোটা জীবনটা কাটিয়ে দেবো। সৃজনের মুখে কথাগুলো শুনে, অবাক হয়ে যায় কৃষ্ণা। কৃষ্ণা ভেবেছিল, স্মৃতি হারিয়ে যাওয়ায় সৃজনের মন থেকে পর্ণাকে সরাতে পারবে। কিন্তু তা না হওয়ায়, চিন্তার ভাঁজ কৃষ্ণার কপালে।