বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা নেহা কক্কর। সিনেমা হোক কিংবা মিউজিক ভিডিও সবেতেই নেহার গান মাতিয়ে রাখেন শ্রোতাদের। তার জনপ্রিয়তা এখন আকাশছোঁয়া। ইতিমধ্যেই বলিউডের প্রথম সারির গায়িকাদের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল নেহার। পারিবারিক আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না থাকায় ভজনে গিয়ে পয়সার বিনিময়ে গান করতেন নেহা ও তার দিদি এবং ছোট ভাই। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই ইন্ডিয়ান আইডলের দ্বিতীয় সিজনে অংশ নিয়েছিলেন নেহা।
আজ নেহার এই সাফল্যের পিছনের কাহিনী আপনাদেরকে জানাবো। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার এই পথ এত সহজ ছিল না নেহার। অনেক কষ্ট ও পরিশ্রমের পর আজ এই জায়গাতে এসেছেন তিনি। বলিউডের একের পর সুপারহিট গান রয়েছে রিমেক কুইনের ঝুলিতে। তবে জীবনের কঠিন সময়ের কথা সকলের সঙ্গে নিজেই শেয়ার করেছিলেন গায়িকা। হৃষিকেশে একতলা জীর্ণ বাড়িতে পুরো পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। একটি ঘরের মধ্যেই মা,বাবা,ভাই, দিদি ও নেহা থাকতেন।
তবে ওই বাড়িটি নিজেদের ছিল না। ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। খুব কষ্ট করে তাদের দিন যেত। ছোটবেলা থেকে জাগ্রতে দিদি সোনুর সাথে গান গাইতেন ছোট্ট নেহা। এই দিদির থেকেই ভজন গান শিখেছিলেন নেহা। সম্প্রতি নেহার ভাই গায়ক টনি কক্কর নেহার স্ট্রাগল নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। টনি সেখানে জানিয়েছিলেন যে তার মা প্রথমে নেহার জন্ম দিতেই রাজি ছিলেন না। কারণ নেহার আগে তার দুই ছেলেমেয়ে ছিল। কিন্তু অনেকদিন হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি আর গর্ভপাত করতে পারেননি।
আর আজ সেই নেহাই পরিবারের হাল ধরেছেন। নেহার আগে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে সকলে মিলে গান গাইতেন। আর এখন একটি গানের জন্য ৮ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন নেহা। আর কোনো কনসার্টে বা অনুষ্টানে গিয়ে গান গাইতে নেহার পারিশ্রমিক ১৫-২০ লক্ষ টাকার বেশি। ২০০৮ সালে ‘নেহা দ্য রক স্টার’ অ্যালবাম-ই তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে এসেছিল। আর আজ তার গলায় দিলবর, আঁখ মারে, কালা চশমা সহ একাধিক সুপারহিট গান রয়েছেই তার। যেই শো-তে একসময় প্রতিযোগী হয়েছিলেন নেহা, এখন সেখানেই জনপ্রিয় বিচারক বলিউডের রিমেক কুইন নেহা কক্কর।