মাটিতে নয়, আলু ফলবে আকাশে, এই পদ্ধতিতে চাষ করলে ইনকাম হবে লাখ লাখ টাকা

নিউজশর্ট ডেস্কঃ Aeroponic Farming is New Technology Of Potato Farming New Business Idea: আলু চাষের(Potato Farming) কথা কম বেশি সকলেই জানে। কৃষকেরা এই আলু চাষ করে তাদের সংসার চালান। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে শুধুমাত্র আলু চাষ সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো না। এই প্রতিবেদনে নতুন প্রযুক্তিতে কিভাবে আলু চাষ করলে আপনি ১০ গুণ বেশি লাভবান হবেন, সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত তথ্য জানাবো। এই নতুন প্রযুক্তিতে আলু চাষের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা হু হু করে বাড়বে।

কৃষকদের আলু চাষ করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারণে বিরাট ক্ষতি হয়। এই সমস্যার সমাধান করার জন্যই বিজ্ঞানীরা আলু চাষের একটি নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার করেছেন। এই প্রযুক্তিতে আলু চাষ করলে ১০ গুন পর্যন্ত বেশি লাভবান হয়ে যাবেন। আজকের এই প্রতিবেদনে নতুন প্রযুক্তিতে আলু চাষের বিজনেস আইডিয়া(Business Idea) সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মাটিতে নয়, বাতাসে আলু চাষ করা হবে। এই চাষের কৌশলকে অ্যারোপোনিক ফার্মিং(Aeroponic Farming) বলা হয়। এক্ষেত্রে ফলন যেহেতু বেশি হয়, তাই চাষীদের লাভের সম্ভাবনা ১০ গুণ বেড়ে যায়। যদিও ভারতে এখন এই প্রযুক্তি এত বেশি চালু হয়নি। কিন্তু বিদেশে এই প্রযুক্তির ব্যবহার খুব বেশি। এটি এমন একটি চাষের কৌশল যেখানে গাছের শিকড় বাতাসে ঝুলতে থাকে। এই প্রযুক্তিতে চাষ করার জন্য প্রথমে নার্সারিতে উন্নত জাতের আলু গাছের চারা লাগাতে হয়।

আরও পড়ুন: পুঁজি কম থাকলেও চিন্তা নেই, ২০২৪-এ এই ৩ হিট ব্যবসা করে রাতারাতি হবেন মালামাল

এরপর চারা তৈরি হয়ে যাবার পর সেটিকে বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে উঁচু বেড তৈরি করা হয় এবং সেখানে আলু গাছ লাগানো হয়। গাছের বয়স ১০ থেকে ১৫ দিন হওয়ার পর সেই গাছগুলোকে নিয়ে  অ্যারোপোনিক ইউনিটে লাগানো হয়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুব কম সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফলন হয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে এই প্রযুক্তি কম ব্যবহার করা হলেও ভারতের শামগড় অ্যারোপোনিক ফার্মিং প্রযুক্তিতে আলু চাষ করা হয়।

আসলে এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করলে আলুর শেকড় যেহেতু বাতাসে ঝুলতে থাকে, তাই মাটি চাপা থাকে না। এর ফলে বাতাস থেকে সরাসরি শিকড় পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। সঠিক মাত্রায় পুষ্টি গ্রহণ করার ফলে আলু উৎপাদনের ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপন্ন হয়। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে খরচ কমে যায়। এর ফলে চাষীদের ইনকাম প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় এই পদ্ধতিতে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে।

Papiya Paul

X