নিউজশর্ট ডেস্কঃ চোখের সমস্যার কারণে চশমা পড়তে হয় এমন মানুষের সংখ্যায় প্রচুর। তবে এবার আর চশমার ঝামেলা থাকবে না। চোখে একফোঁটা ড্রপ দিলেই হবে চমৎকার। হ্যাঁ এমনই অসাধ্য সাধন করল মুম্বইয়ের এক ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। ইতিমধ্যেই DCGI এর পক্ষ থেকে অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে আই ড্রপটি। তাই যারা চশমা না পড়তে চেয়ে লেন্স ব্যবহার করতেন বা যাঁরা চশমা ব্যবহারে বিররক্ত তাদের জন্য এটা দারুণ সুখবর।
আসলে চোখের সমস্যা থেকেই দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থেকে কাজ বা বই পড়ার ক্ষেত্রে চোখের নার্ভের উপর চাপ পরে। যার যে কারণে চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারের। যদি চশমা না পড়তে চান তাহলে একমাত্র উপায় ছিল লেন্স। কিন্তু সেটাও যদি অনেক্ষণ ধরে ব্যবহার করা হয় তাহলে চোখের প্রদাহ শুরু হয়। এই সমস্যার সমাধানেই ম্যাজিক ড্র্যাগ আবিষ্কার করল মুম্বাইয়ের এনটড ফার্মাসিউটিক্যালস।
১৫ মিনিটে বাড়বে দৃষ্টি শক্তি
কোম্পানির দাবি এই ড্রপ একফোঁটা দিলেই ১৫ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে। এরপর ৩ থেকে ৬ ঘন্টা একেবারে নিশ্চন্ত চোখের কোনো সমস্যাই আর থাকবে না। জানা যাচ্ছে, সেন্ট্রাল ড্র্যাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফ থেকে এই ড্রপের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে এটি কোনো ওষুধ নয়, বরং যাদের দৃষ্টি শক্তি কমে গিয়েছে তাদের একটা বড় সমস্যার খুবই সহজ সলিউশন। তাই আগামী ১লা অক্টোবর থেকেই ড্রপটি পাওয়া যাবে। তাই যাদের বার্ধক্যের কারণে চশমা পড়তে হয় তারা এবার একফোঁটা ড্রপ দিয়েই নিশ্চিন্ত হয়ে যেতে পারবেন।
কারা ব্যবহার করতে পারবেন এই আই ড্রপ?
চোখের একটি সময় হল প্রেসবায়োপিয়া যেটার সহজ বাংলা হল কাছের জিনিস দেখতে সমস্যা। বিশ্বে প্রায় ২ মিলিয়ন ব্যক্তি এই সমস্যায় ভুগছেন। মূলত বয়স বাড়তে থাকলে চোখের ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে, তখনই এই সমস্যা দেখা যায়। ভারতে তো বটেই পরবর্তীকালে আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে আমেরিকাতেও এই আই ড্রপ বিক্রি করার প্ল্যান রয়েছে কোম্পানির।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ডিজিসিআই এর কাছে অনুমোদনের জন্য গিয়েছিল এই আই ড্রপটি। যে কোনো মেডিকেল ড্র্যাগ জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ হওয়ার আগে তিন ধাপে ট্রায়াল নেওয়া হয়। সেই মত মোট ২৭৪ জনের উপর এই ড্রপ ব্যবহার করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৮২% সফলতা পাওয়া গিয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ঝাপসা দৃষ্টি, চোখ লাল হওয়ার মত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। তাই এই ধরণের কোনো ড্রপ ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।