নিউজশর্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক বছর যাবৎ রাস্তাঘাটে সর্বত্র দেখা মেলে নীল জামা পড়া সিভিল ভলিন্টিয়ারদের। খাতায় কলমে পুলিশকে সহায়ক কর্মী হলেও বারেবারে ট্রাফিক পুলিশের ডিউটি থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে দেখা গিয়েছে সিভিকদের। তবে আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই সিভিকদের নিয়ে কড়া হচ্ছে প্রশাসন। তার জেরেই এবার লালবাজার থেকে জারি হল নতুন নির্দেশিকা।
সিভিক ভলিন্টিয়ারদের নিয়ে জারি নতুন নির্দেশিকা
আরজি কর কাণ্ডে সিভিক ভলিন্টিয়ারকে গ্রেফতারের পর থেকেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সিভিকরা নিজেদের বাইকে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পদমর্যাদা অনুযায়ী পুলিশ না হয়েও কিভাবে বাইকে পুলিশের স্টিকার লাগানো যায় এই প্রশ্ন ছিল অনেকের মনেই।
তাই এবার লালবাজারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হল যে বাইকে কোনোরকম পুলিশের স্টিকার লাগাতে পারবেন না সিভিক ভলিন্টিয়াররা। এমনকি ডিউটিরত অবস্থাতেও কোনো পুলিশের বাইক ব্যবহার করা যাবে না। সোজা কথায় বলতে গেলে বাইকে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা পুলিশের বাইক নিয়ে সিভিকদের ঘোরাঘুরি আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, এর আগেই আরও একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। বিগত ৩০শে অগাস্ট সিঁথির মোড়ে পড়ুয়াদের কর্মসূচি ছিল। সেখানেই নাকি এক সিভিক ভলিন্টিয়ার তান্ডব চালিয়েছিল। ভোর বেলার দিকে আচমকাই একটা বাইক এসে ধাক্কা মারে ব্যারিকেড। বাইকে পুলিশ লেখাছিল, একইসাথে চালক তথা অভিযুক্ত নিজেকে ও ডিউটিতে থাকার দাবিও করেন। এরপরেই বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তুলেছে। একজন পুলিশ কিভাবে অন ডিউটি থাকাকালীন মদ্যপ হন?
এই ঘটনার পরেই প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, অনডিউটিতে থাকাকালীন মদ খেলে হাড়ে হাড়ে টের পাবে অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই যাদের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি বা এমন কোনো অভিযোগ রয়েছে তাদের কাজ থেকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তাই এবার যদি কোনো সিভিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তাহলে সেটা ডেপুটি কমিশনার পদের আধিকারিক নিজে খতিয়ে দেখবেন। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে ওই সিভিক ভলিন্টিয়ারকে তৎক্ষণাৎ কাজ থেকে বাতিল করে দেওয়া হবে।