চারপাশে সবুজ আর সবুজ, ঘুরে আসুন এই ছোট্ট গ্রাম থেকে, নাম না জানা পাখির ভিড় দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে

নিউজশর্ট ডেস্কঃ পুজোয় বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য মন আনচান করে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির। তবে প্রত্যেকবার ওই ‘দি-পু-দা'(Darjeeling) যেতে একদমই মন চাইছে না! কিন্তু হাতে বাজেটও কম। তাই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন অল্প বাজেটের মধ্যে কিভাবে অন্য কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যায়। এই সমস্যা সমাধানে চলে এসেছি আমরা। আজকের এই প্রতিবেদনে অল্প বাজেটের মধ্যে একদম অজানা লোকেশনের(Offbeat Location) খোঁজ নিয়ে।

আপনার কাছে অল্প ছুটি থাকলেও অসুবিধা নেই। মাত্র ২ দিনের ছুটিতেই বেরিয়ে আসা যাবে পাহাড়ের এই অজানা জায়গাতে। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ঘন্টা দেড়েকের মধ্যেই এই জায়গাতে পৌঁছে যাওয়া যায়। এই জায়গাটির নাম লাটপঞ্চারক(Latpancharok)। এই জায়গাটিকে ‘হেভেন অফ বার্ডস’ বলে। এখানে গেলে অসংখ্য নাম না জানা পাখি দেখতে পাবেন আপনি। একেবারেই ছবির মত সুন্দর জায়গা এটি। একেবারে ছোট্ট একটি সুন্দর গ্রাম।

শিলিগুড়ি থেকে মাত্র চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই গ্রাম। এখানে এত অজানা পাখি রয়েছে যে আপনি দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই জায়গার উচ্চতা ৪০০০ ফুট। এখান থেকে খুব হালকাভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন আপনি। হোমস্টের ঘরে বসেই কাঞ্চনজঙ্ঘা উপলব্ধি করা যাবে। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট ছোট্ট বাড়ি ঘর। এখনো বহু মানুষ এই জায়গার খোঁজ জানে না।

একান্তে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে পারবেন আপনি। এই জায়গাতে ঢোকার মুখে একটি রক ক্লাইম্বিং সেন্টার রয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে রক ক্লাইম্বিং করতে পড়ুয়ারা আসেন। বর্ষার সময় ছাড়া প্রায় সবসময়ই পড়ুয়াদের ভিড় এখানে থাকে। আর শুধু পাখি নয় এখানে প্রচুর কমলালেবু উৎপাদন হয়। অক্টোবর মাসে গেলে আপনি সবুজ কমলালেবু দেখতে পারবেন। ডিসেম্বর মাসে পাকা কমলালেবু চারিদিকে গাছে ঝুলছে।

এই সৌন্দর্য ভাষায় উপলব্ধি করার নয় সময় থাকলে একবার অবশ্যই প্রকৃতির সৌন্দর জায়গা নিজের চোখে দেখে আসুন। একটি সুন্দর মনেস্ট্রি রয়েছে। এছাড়া এখান থেকে সিটং এবং যোগী ঘাট যাওয়া যায়। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে কার্শিয়াং-এর একাধিক গ্রাম ঘুরে দেখতে পারেন।

কিভাবে যাবেন?
আপনাকে ট্রেনে বা বাসে করে শিলিগুড়ি যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে সেবক রোড ধরে কালিম্পং যাওয়ার পথে কালিঝোড়া থেকে বাম দিকে বাঁক নিলে পৌঁছে যাবেন লাটপাঞ্চার। শিলিগুড়ি থেকে যেকোনো গাড়ি করে এই জায়গায় পৌঁছে যেতে পারেন।

Papiya Paul

X