দুর্দান্ত গতি, ঝাঁ চকচকে সিট, বন্দে ভারতকে হারিয়ে দেবে এই লোকাল ট্রেন!

নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভারতীয় জনজীবনের অন্যতম প্রধান অঙ্গ রেল(Indian Railway)। এইজন্যে একে বলা হয় ‘লাইফ লাইন অফ ইন্ডিয়া।’ গরীব থেকে বড়লোক সকলেই নির্ভরশীল এই ট্রেনের ওপর। আর তাই নিত্যদিনই এই ট্রেনকে নিয়ে নতুন নতুন জিনিস আনে রেল। আর এবারে এমনই এক ট্রেন আনলো রেল, যার সাজসজ্জা হার মানাবে বিমানকেও। এই ট্রেন দেখলে সত্যি বোঝা দায় যে এটি লোকাল ট্রেন নাকি বিমান। বিশেষ ট্রেনটি খুব তাড়াতাড়ি নামানো হবে রেল ট্র্যাকে। বন্দে ভারতকে রীতিমতন ১০ গোল দেয়ার ক্ষমতা রাখে এই ট্রেন।

আপনি হয়তো এখনও ভাবছেন এমন লোকাল ট্রেন কি সত্যিই সম্ভব ? ভাবাটাই স্বাভাবিক কারন লোকাল ট্রেনের কথা ভাবলেই আমাদের মাথায় আসে ভিড়ে ভরা এক ট্রেনের কথা। তাই এক কথায় এটি শুনতে অবিশ্বাস্য লাগাই স্বাভাবিক। এ ট্রেন যদি একবার চলতে শুরু করে, তবে তা ভারতীয় রেলকে পৌঁছে দেবে এক অন্য উচ্চতায়। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে যুক্ত হবে আরেক স্বর্ণময় অধ্যায়। যেমনটি হয়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে। এবারে আসুন জেনে নিই এই ট্রেনের নাম।

বিশেষ এই ট্রেনটির নাম হল RapidX Train। বন্দে ভারতের পর এটিই দেশের দ্বিতীয় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ট্রেন। ঝাঁ চকচকে ট্রেনটি সত্যিই লক্ষণীয়। ট্রেনটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন এটিকে দেখে মনে হয় ট্রেন এবং মেট্রোর সংমিশ্রণ। ট্রেনটির লুক এমন করা হয়েছে যা দেখলেই মুগ্ধ হবেন আপনি। শুধু দর্শনধারী নয় এই ট্রেনের গুনও নজরকাড়া। আসুন জেনে নিই এই ট্রেনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।

Rapid X, বিশেষ এই ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটবে। ট্রেনটি মূলত চলবে দিল্লি-মিরাট রুটে। গত শুক্রবারই উদ্বোধন হয়েছে এই রুটের ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের। বর্তমানে এই ট্রেনের ট্রায়াল চলছে। আর এই ট্রায়াল চলাকালীন সময়েই সকলকে অবাক করেছে ট্রেনটি। ট্রেনটিতে রয়েছে বিমানের মত নরম গদির রিক্লাইনার সিট, রয়েছে অত্যাধুনিক ডিজিটাল স্ক্রীনও। স্ক্রিনে যাত্রীরা দেখতে পাবে তারা কোন রুটে যাতায়াত করছেন এবং পরবর্তী স্টেশনের নামও। বিশেষ এই ট্রেনটিতে থাকবে ছয়টি করে কামরা, যার মধ্যে একটি প্রিমিয়াম এবং বাকিগুলো স্ট্যান্ডার্ড। এছাড়াও মহিলাদের জন্য থাকবে বিশেষ এক কামরা।

আগামী শনিবার থেকেই বাণিজ্যিকভাবে চলাচল করবে ট্রেনটি। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর একটি করে স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেন। স্টেশনে অপেক্ষা করবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড। এ ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিলোমিটার হলেও ট্রায়ালে সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠেছিল ১৪৬ কিলোমিটার। সেই কারণেই বাণিজ্যিকভাবে যাতায়াতের সময় ট্রেনটির গর গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার। জানা যাচ্ছে, ট্রেনটি ৮২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে ১ ঘণ্টারও কম সময়ে। বিশেষ এই ট্রেনটি যে আগামী দিনে ভারতীয় রেলের রূপরেখা পরিবর্তন করে দেবে সেটি বলাই বাহুল্য।

Papiya Paul

X