পার্থ মান্নাঃ আজকাল শহরে বা মফৎসলে অ্যাপ ক্যাবের পাশাপাশি বাইক ট্যাক্সি (Bike Taxi) এর চাহিদাও অনেকটাই বেড়েছে। কোথাও দ্রুত পৌঁছাতে হলে ট্যাক্সির বদলে বাইক ট্যাক্সি বুক করতেই বেশি পছন্দ করেছেন লোকে। কারণ এতে একদিকে যেমন ভাড়া কম লাগে তেমনি ঝপাৎ গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়াও যায়। কারণ গাড়ির মত বাইক বা স্কুটিকে বেশিক্ষন জ্যামে আটকে থাকতে হয় না। কিন্তু এবার সরকারের নতুন নিয়মে মাথায় হাত বাইক ট্যাক্সি চালকদের।
বাইক ট্যাক্সি নিয়ে নতুন নিয়ম জারি!
বাইক ট্যাক্সি চালু হওয়ায় অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। বহু যুবকেরা অন্য কাজ না পেয়ে বাইক ট্যাক্সিতে রেজিস্ট্রেশন করে উপার্জন শুরু করেছেন। তবে এতদিন ভালো রোজগার হলেও এবার সেই টাকায় কিছুটা ঘাটতি হতে চলেছে নতুন নিয়ম জারি হওয়ার ফলে। কি কি নিয়ম লাগু হল? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
পুজোর ফাঁকেই জারি পরিবহন দফতরের নির্দেশিকা
যেমনটা জানা যাচ্ছে পুজোর মাঝেই নতুন নিয়ম লাগু করা হয়েছে। যা দেখার পর বাইক ট্যাক্সি চালকদের অনেকেরই মতে, সব নিয়ম মানতে গেলে লাভের টাকার আর কিছুই হয়তো বাঁচবে না। রাজ্যের পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলাহয়েছে এবার থেকে দু চাকা বা বাইকে যাত্রী বহন করতে গেলে সেটাকে ট্রান্সপোর্ট ভেহিক্যাল হিসাবে গণ্য করা হবে। ফলে পরিবহণ দফতর থেকে আলাদা করে রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে।
এখানেই শেষ নয়, রেজিস্ট্রেশন করানোর পর প্রতিবছর ট্যাক্স দিতে হবে। এছাড়াও কমার্শিয়াল পারমিট থেকে শুরু করে গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকতে হবে। গাড়ি চালানোর সময় চালক ও আরোহী দুজনের মাথাতেই হেলমেট থাকা বাধ্যতামূলক। বাইকে মালপত্র নেওয়া নিয়েও নিয়ম রয়েছে। সর্বোচ্চ ১০ কেজির মালপত্র নেওয়া যাবে সেটাও যেন চাকা থেকে ৩৬ সেন্টিমিটারের মধ্যেই হয়। এই সমস্ত নিয়ম মানতে হবে। না হলে পুলিশে ধরলেই যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নতুন নিয়ম মানতে কত খরচ বাড়বে?
নিয়ম সম্পর্কে তো জানা হল চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক খরচ হবে কত? প্রথমেই আশা যাক কমার্শিয়াল বাইকে ট্রান্সফারের খরচ, যেটা মোটামুটি ১০৯০ টাকা। এরপর রেজিস্ট্রেশনের জন্য চার্জ দিতে হবে ৩৪০ টাকা। এরপর পারমিটের জন্য ২০০০ ও নতুন লাইসেন্স প্লেটের জন্য ৫০০ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ গড়ে প্রায় ৪০০০ টাকা খরচ। এত টাকা খরচ করার পর বাইক ট্যাক্সি কারা চালাবে সেটাই প্রশ্ন?
যদিও রাজ্ পরিবহন দফতরের মতে, রাজ্যে প্রায় ২০-২২ হাজার বাইক ট্যাক্সি রয়েছে। ব্যক্তিগত বাইকে যাত্রীবহন একপ্রকার বেআইনি। যার জেরে পুলিশ ফাইনও করছে। তাই হয়রানি থেকে বাঁচতে হলে এই নিয়ম মেনে চলতেই হবে।