মাত্র একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন শান্ত-নিরিবিলি সবুজে ঘেরা এই এলাকায়, কলকাতার কাছেই অচেনা ডেস্টিনেশন

নিউজশর্ট ডেস্কঃ দুর্গোৎসব সবেমাত্র শেষ হয়েছে। তবে উৎসবের মরশুম এখনও চলছে। আর এই উৎসবের মরশুমে সকলেরই মন চায় একটু ভ্রমণের(Travel)। ভিড় আর ইট-কাঠ পাথরের এই দূষিত শহর থেকে অনেকেই যেতে চান একটু শান্ত ও নিরিবিলি জায়গায়। তবে অনেকেরই মনে হয় ১/২ দিনের ছুটিতে এমন জায়গা পাওয়া দু:ষ্কর। কিন্তু কলকাতা থেকে অদূরেই হাওড়া জেলায় আছে এমন একটি স্থান যেখানে একাধারেই রয়েছে জঙ্গল আবার নদীও। বহুদিন বন্ধ থাকার পর অবেশেষ ফের একবার খুলেছে এই পর্যটন কেন্দ্র(Tourist Spot)।

নদী লাগোয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ এই স্থানটির নাম গড়চুমুক(Garchumuk)। শরতের চাপা গুঞ্জরনকে দোসর করে কোনও অঙ্গীকার না রেখেই বুনো ছায়াটুকুর পাশ দিয়ে স্বচ্ছন্দে বয়ে গিয়েছে আটপৌরে এক নদী, আর তার পাশেই রয়েছে এই স্থান। দামোদর ও ভাগীরথীর মিলমিশটা ঠিক এখানেই। অনর্গল সবুজ ও অক্সিজেন ছড়াচ্ছে গাছপালাগুলো। চারপাশে পাখির কলরব আরও মায়াবি করে তোলে পরিবেশকে। সারাদিনের নানান ক্লান্তি, দুঃখ-কষ্ট যেন এক নিমেষেই মিলিয়ে যায় এর ফলে। প্রায় সারা বছরই এখানে জেলা ও তার বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা ভিড় জমান।

বহুদিনের অপেক্ষার পর ফের একবার এই পর্যটনকেন্দ্র খুলে যাওয়াতে খুশি সকলে। নতুন বহু জিনিস যুক্ত করা হয়েছে এই পার্কে। শিশু পার্কের আধুনিকীকরণ থেকে পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার সুবিধার্থে নতুন ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ শুরু করা। এছাড়াও ফুলের বাগানগুলিকেও দেওয়া হয়েছে এক অন্ন রূপ। এখন পার্কের জলের মধ্যে বোটিং এক অন্যতম আকর্ষণ।

আগামী দিনে আইসক্রিম পার্লার ও খাবার পরিষেবাও দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছড়াও এই শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে হোমস্টের ব্যবস্থাও রয়েছে। পার্কের মধ্যেই এসি এবং নন এসি রুম মিলবে। খুব শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য খুলে যাবে এর ভেতর থাকা মিনি চিড়িয়াখানাটি। আসুন এবারে জেনে নিন কি ভাবে যাবেন এই স্থানে।

কিভাবে যাবেন?
প্রথমে হাওড়া স্টেশন থেকে উলুবেড়িয়া যাওয়ার লোকাল ট্রেনে করে উলুবেড়িয়া আসতে হবে। হাওড়া থেকে উলুবেড়িয়া ৪৫ মিনিটের পথ। এরপর এখানে এসে অটো বা ট্রেকারে গড়চুমুক ১৫ কিলোমিটার। এছাড়াও ধর্মতলা থেকে গড়চুমুক ৫৮ গেট বাসস্টপ , ৬০ কিলোমিটার। পৌঁছতে সময় লাগবে সওয়া ২ ঘণ্টা। এমনকি মুম্বই রোড ধরে নিজের গাড়ি চালিয়েও উলুবেড়িয়া এসে শহরের ভিতরে আপনি ঢুকতে পারবেন এই গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্র।

Papiya Paul

X