ক্যালেন্ডার (Calender) অনুযায়ী চলছে চৈত্র মাস । অর্থাৎ গরমকালের (Summer) আগমন। আর এই গরমের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই পছন্দ করেন পাহাড় সফর। তাই অল্প ছুটি পেলেও বেরিয়ে পড়েন দার্জিলিং-এর উদ্দেশ্যে। অনেকে আবার পারি দেন কালিম্পং-এ। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই বহুবার ঘুরে এসেছেন এই দুই জায়গা। তাই আজ আপনাদের দেব নতুন জায়গার ঠিকানা।
দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং নয়। পাহাড়ের শীতল হাওয়ায় মনতাজা করতে এবার ঘুরে আসুন দার্জিলিং-এর থেকে। একটু দূরে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত সিকিম থেকে। কিভাবে যাবেন কোথায় ঘুরবেন সেই সমস্ত তথ্য তুলে ধরব আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে।
সিকিমে অবস্থিত খেচেওপালরি হ্রদ। টুরিস্ট ডেস্টিনেশন হিসেবে এক আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে এই হ্রদের। এখানে আপনি পাবেন হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের তীর্থস্থান। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে আকর্ষিত করবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, অফবিট জায়গা হওয়ার কারণে নিরিবিলি পরিবেশ পাবেন সিকিমের খেচেওপালরি হ্রদে।
দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং ঘুরে ঘুরে আপনি যদি বোরিং হয়ে গেছেন তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন সিকিমের এই ছোট্ট হ্রদে। এনজিপি থেকে মাত্র ১৩৮ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত এই হ্রদ। বহু দূর দুরান্ত থেকে পর্যটকেরা আসেন এখানে ঘুরতে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি নিয়ে যাত্রা করলেই খুব সহজে পৌঁছে যাবেন আপনার নয়া ডেস্টিনেশন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন ভরিয়ে তুলবে আপনার। হয়ে উঠবেন তরতাজা।
জানা যায়, এই হ্রদের চারিদিক ঘেরা সবুজ গাছ পালায়। আর সে কারণে এখানে সবুজের ঘেরা টোপে থাকতে পারবেন আপনি। এই হ্রদটি দেখতে অনেকটাই পায়ের ছাপের আকৃতির মতন। সেখানকার মানুষেরা বিশ্বাস করেন এই পায়ের ছাপ ভগবান শিবের। এই লেকের পাশে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম। সেখানে রয়েছে একাধিক হোমস্টে। রাতে যদি আপনি পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই থাকতে পারেন এই গ্রামে থাকা ছোট্ট ছোট্ট ঘর গুলিতে। তাই আর দেরি না করে আজই ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সিকিমের খেচেওপালরি হ্রদের উদ্দেশ্যে।