‘শহিদ’ পরিবারদের চাকরির দাবিতে দ্বন্দ্ব শুরু কেন্দ্র ও রাজ্য বিজেপির

আরো একবার রাজ্য বিজেপির অন্তরে তৈরি হলো অসন্তোষ। গত পঞ্চায়েত ভোটের পরে যে সকল বিজেপি কর্মী রাজনৈতিক হিংসা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাদের পরিবারের একজন সদস্য কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও কোন অনুরোধ রাখা হয়নি, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে দলীয় অসন্তোষ।

বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোট থেকে এখনো পর্যন্ত ১৭৩ জন দলীয় কর্মী রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন। রাজ্য অথবা কেন্দ্র থেকে কেউ এই নিহত কর্মীদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। বিধানসভা ভোটের পর যে সমস্ত বিজেপি কর্মী রাজনৈতিক হিসাবে নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের আর্থিক সাহায্য করা হয়েছিল দলীয় পক্ষ থেকে। কিন্তু সেটি যথেষ্ট নয়। শুধুমাত্র আর্থিক ভাবে সাহায্য করা নয়, সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে।

সম্প্রতি বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী স্বীকার করেছিলেন, যাঁরা দলের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে এখনো চাকরি দেওয়া হয়নি। এই পরিপেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, “যার বাড়ির কেউ আমাদের দল করতে মারা গেলেন, তাদের কাছে এই নীতির কোন মানে নেই। অনেকেই আছেন যাদের পরিবারের রোজগার করার মতো কেউ নেই, বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। যাদের প্রাণের বিনিময়ে বিজেপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হল, তারা কি পেলেন”?

প্রসঙ্গত, দলের “শহীদ”দের পরিবারের মানুষদের চাকরি না দেওয়াকে একপ্রকার “অমানবিকতা” বলে দাবি করেছেন রাজ্য নেতৃত্ব একাংশ। রাজ্য তৃণমূল অথবা অন্য কোন দলের কোন ব্যক্তি দুর্ঘটনা অথবা সন্ত্রাসের শিকার হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পরিবারের একজনকে চাকরি দেন, কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে এমন কিছু শোনা যায়নি। দলের মানুষদের যদি সাহায্য না করতে পারে বিজেপি, তাহলে বাইরের মানুষের কিভাবে সাহায্য করবেন তারা?

Papiya Paul

X