নিউজশর্ট ডেস্কঃ শীত পড়তে না পড়তে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান সেরে ফেলেন পর্যটকেরা। এখন তো ডিসেম্বরে মাঝামাঝি। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ যেমন ব্যাগপত্র গুছিয়ে ঘুরতে(Travel) বেরিয়ে পড়েছেন। ঠিক তেমনি কিছু পর্যটক রয়েছে যারা সামনে বড়দিন এবং নতুন বছর উপলক্ষে ঘুরতে যাবার প্ল্যান করছেন। কিন্তু কোথায় ঘুরতে যাবেন সেটা কিছুতেই ঠিক করতে পারছেন না! তাহলে আপনারা চলে যেতে পারেন এই অফবিট ডেস্টিনেশন(Offbaet Destination) ধোত্রেতে(Dhotrey)।
আর এই ডেস্টিনেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই প্রতিবেদনটি পুরোটা পড়ে ফেলুন। প্রকৃতি যে কতটা সুন্দর বিশেষ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা যে কত সুন্দরী তা এখানে এলে স্পষ্ট করে বুঝতে পারবেন আপনি। পাহাড়ের এক আলাদা সৌন্দর্য দেখা যায় এই নির্জন নিরিবিলি গ্রামে। আপনার যদি দুই থেকে তিন দিনের ছুটি থাকে তাহলে নির্জন-নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে এখানেই থেকে যেতে পারেন।
এখানে বেশ কয়েকটি সুন্দর হোমস্টে রয়েছে। যেখান থেকে জানলা খুলে কিংবা বারান্দায় দাঁড়ালে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ছুঁতেও পারবেন। আর ভাগ্য যদি ভালো থাকে তাহলে বছর শেষে বরফের দেখা মিলতে পারে। এখানে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাহাড়ের রূপ যেন বদলে যায়। পাহাড় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে যাবে তা বুঝতেই পারবেন না। আর এই সৌন্দর্য লেখনীতে প্রকাশ করা সত্যি মুশকিল।
আরও পড়ুন: নেই কোনো ভিড়, কোলাহল, দীঘা ভুলে এবার বেড়িয়ে আসুন কলকাতার কাছের এই সুন্দর সি বিচ থেকে!
নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাও যায় না। এই গ্রাম প্রায় সাড়ে আট হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। পাশের জঙ্গলে প্রচুর পাইন গাছ রয়েছে। তাছাড়া এখানে অজস্র নাম না জানা পাখি দেখতে পারবেন যা আপনার মনকে আরো বেশি উৎসাহিত করে তুলবে। আর জঙ্গলের দিকে তাকালে শুধু সবুজ আর সবুজ যে মন ভরে যাবে আপনার। এখান থেকেই আপনি সান্দাকফু ট্রেকিং করতে পারেন। পাশেই রয়েছে আরেকটি সুন্দর জায়গা টুমলিং।
এখানে গরম কালের তুলনায় শীতকালে তাপমাত্রা যেহেতু বেশ নিচের দিকেই থাকে তাই অবশ্যই শরীর গরম রাখার জন্য গরম জামাকাপড় নিয়ে যেতে ভুলবেন না। এর পাশাপাশি বরফ পড়ার সম্ভাবনা থাকায় নিজেকে সেই ভাবে প্রস্তুত করে তবেই বেরোবেন। আরেকটি বিশেষত্ব হল এখানে মাঝেমধ্যেই রেড পান্ডাও দেখা যায়। তাই আপনার ভাগ্য ভালো থাকলে রেড পান্ডা ও দেখে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: Travel: চারিদিকে পরিযায়ী পাখির ভিড়, শীতে ঘুরে আসুন এই অফবিট লোকেশনে, মন হবে ঝাক্কাস
কিভাবে যাবেন?
এনজিপি থেকে ধোত্রে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে। এনজিপি বা বাগডোগরা থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আপনি ধোত্রে চলে যেতে পারেন। আর যদি অল্প খরচের মধ্যে যেতে চান তাহলে দার্জিলিং মোড় থেকে শেয়ার গাড়িতে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ৬০০ টাকার মধ্যেই চলে যেতে পারবেন আপনি। মানেভঞ্জন থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে টুমলিং। সেখান থেকে আরও ৬ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ধোত্রে।
এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি বাজেট ফ্রেন্ডলি হোমস্টে রয়েছে। যেখানে থাকা খাওয়া নিয়ে বেশ ভালই সবাই কেটে যাবে আপনার।