পার্থ মান্নাঃ রাজ্যের সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে সরকারের তরফ থেকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ট্যাব কেনার টাকা দেওয়া হয়। প্রতিবছরের মত এবছরেও নামের তালিকা তৈরী করা হয়েছিল কিন্তু বিপত্তি ঘটল টাকা ট্রান্সফার পরকীয়া শুরু হতেই। একাধিক পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। সরকারি পোর্টাল হ্যাক হওয়ার কথাও জানা গিয়েছে। তবে এবার জানা যাচ্ছে শুধু তরুণের স্বপ্ন নয়, লক্ষীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতার টাকাও নাকি উধাও হয়ে যাচ্ছ! হ্যাঁ সম্প্রতি এমনই অভিযোগ মিলেছে।
ট্যাবের টাকার মত উধাও লক্ষীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতার টাকা
ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর সেই অ্যাকাউন্টগুলিকে ফ্রিজ করা হয়েছে। এরপর তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ সেখানেই দেখা গিয়েছে একই অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে লক্ষীর ভান্ডার, বার্ধক্য ভাতা এর মত একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের টাকা। কিন্তু কিভাবে এটা সম্ভব হল তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
এর আগেও উধাও হয়েছিল ট্যাবের টাকা
জানা যাচ্ছে বিগত ২০২২ সালেও নাকি ট্যাবের টাকা উধাও হওয়ার মত ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই সময় তদন্ত করা হলে উত্তর দিনাজপুর থেকে দুজকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তাদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবার সেই ঘটনার সমস্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হল নবান্নের শীর্য আধিকারিকদের তরফ থেকে। কিভাবে টাকা উধাও হয়েছিল? পুলিশ কিভাবে তদন্ত করেছিল সবটাই জানতে চাওয়া হল নবান্নের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, এবছর পূর্ব বর্ধমানের সিএমএস হাই স্কুলের থেকে মোট ৪১২ জন পড়ুয়ার নাম পাঠানো হয়েছিল ট্যাবের টাকার জন্য। কিন্তু সেখানে ২৮ জন পড়ুয়া টাকা পাইনি। এরপর সবটা যেন হয় শিক্ষা দফতর থেকে সাইবার ক্রাইমে। এমনকি ডিআই ও অতিরিক্ত জেলাশাসককেও এই বিষয়ে জানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে তাদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ১০ হাজার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। এবার অপেক্ষা পুনরায় টাকা আসার।