নিউজ শর্ট ডেস্ক: সামনেই আসছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে ভোটের নির্ঘণ্ট। সাধারণত প্রত্যেক বছরেই ভোট গ্রহণ পর্বের এই ডিউটিতে (Election Duty) নিযুক্ত থাকেন রাজ্য সরকারের (State Government) বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরাও (School Teachers)। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই ভোটের ডিউটি থেকে নিস্তার পেতে চান সকলেই।
অনেকে আবার অসুস্থ হওয়ার কারণ দেখিয়ে ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি চান। কিন্তু এবার নববর্ষের আগেই বীরভূম প্রশাসনের তরফে ভোটের ডিউটি সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাকে (Notification) ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মী যদি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি চান, তাহলে তিনি নিজের অফিসের কাজেও যোগ দিতে পারবেন না।
আর এই সিদ্ধান্তই একেবারে মানতে পারছেন না সরকারি কর্মীদের একাংশ। কারণ এই নির্দেশিকা অনুযায়ী কোন স্কুল শিক্ষক যদি অসুস্থতার কারণে ভোটের ডিউটি থেকে ছুটি নিতে চান তাহলে ভোট চলাকালীন সময় তিনি স্কুলেও শিক্ষকতা করতে যেতে পারবেন না।
অর্থাৎ সেই সরকারি কর্মীকে হয় নিজের জমানো ছুটি খরচ করতে হবে, অথবা যদি তার কাছে পর্যাপ্ত ছুটি না থাকে তাহলে তার বেতন কাটা যাবে। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশিকা মোটেই খুশি নন সরকারি কর্মীরা। এই নির্দেশিকা ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: চাকরি ছাড়ুন, আধার কার্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েই প্রতি মাসে আয় করুন মোটা টাকা, জানুন কিভাবে?
বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রতিবারের মতো এবারও ভোটের কাজ থেকে ছুটি পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন অনেক সরকারি কর্মীরা। তবে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে যারা ভোটের ডিউটি থেকে ছুটি চাইছেন তাদের ক্ষেত্রে এই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি আনফিট বলে লিখে দেন তবেই সেই সরকারি কর্মী ভোটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন।
তবে এখানে বলে রাখি আনফিট ঘোষিত হওয়া সরকারি ওই সরকারি কর্মী ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত নিয়মিত সরকারি কাজেও যোগ দিতে পারবেন না। তবে ভোট পর্ব মিটলে তবেই তাকে ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে কাজে যোগ দিতে হবে। আর এই বিষয়টি নাকি সার্ভিস বুকেও লিপিবদ্ধ করা হবে।