নিউজশর্ট ডেস্কঃ জীবনের একঘেয়েমি কাটিয়ে ভ্রমণপ্রিয় (Travel) বাঙালি মাঝে মধ্যেই জগতটাকে চিনতে বেড়িয়ে পড়ে। আর যারা পাহাড় প্রেমী হন, তাদের মন তো সব সময়ই ছোটে পাহাড় দর্শনের আশায়। জীবনের সমস্ত ক্লান্তি ছেড়ে ফেলে পাহাড়ের কোলে মনোরম দৃশ্য অনুভব করতে সকলেই চান। আজকের এই প্রতিবেদনে তেমনি এক অফবিট ভ্রমণস্থলের (Offbeat Tourist Destination) সন্ধান দেব আপনাদের।
এমনিতে বাঙালির ভ্রমণ মানেই দীপুদা মানে দিঘা, পুরি আর দার্জিলিং। তবে গরমে বা বর্ষার সময়ে মূলত পাহাড়ে বা উত্তরবঙ্গের দিকে যেতেই পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ। সেই কারণেই এই সময়ে ট্রেনের টিকিট পাওয়াও মুশকিল হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ রোজ পাড়ি দেন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে। কিন্তু আপনি যদি ভিড় পছন্দ না করেন? চিন্তা নেই আজ আপনাদের এক অফবিট জায়গার খোঁজই দেব। যেখানে এখনও সেই পরিমাণ ভিড় হয়নি। জায়গাটির নাম হল সালামথাং (Chalamthang)।
দক্ষিণ সিকিমের (South Sikkim) এই ছোট্ট গ্রাম। সালামথাংয়ের প্রধান আকর্ষণ হলো ১৬০ বছরের পুরনো এক কুটির। বাঁশ, ঘাস আর গাছের ডালে তৈরি এই কুটির সগর্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাহাড়ের ঢালে। এছাড়াও এখানে রয়েছে দারা। সিকিমের ভাষায় দারা মানে হলো পাহাড়চূড়া। সালামথাং-এর কাছে এমন অনেক চূড়া রয়েছে। এর নিচে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিস্তা নদী। এই দারা হলো সালামথাংয়ের মানুষের কাছে খুব পবিত্র। স্থানীয়দের বিশ্বাস, হারে দারায় এসে নববিবাহিত দম্পতি যদি কিছু প্রার্থনা করেন, অবশ্যই তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হবে।
কিভাবে যাবেন সালামথাং?
প্রথমে হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে উঠে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন। এরপর ভাড়া গাড়িতে করে মাত্র ঘন্টা তিনেকের পথ পেরোলেই পৌঁছে যাবেন সালামথাংয়ে। বছরের যে কোন সময় এমনকি বর্ষাকালেও এখানে যেতে পারেন। তবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ হলে কখনোই পাহাড়ে যাওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুনঃ নামমাত্র খরচেই ছুটি জমজমাট! সপ্তাহান্তে ঘোরার জন্য রইল কলকাতার কাছের ৫ সমুদ্রসৈকতের হদিশ
কোথায় থাকবেন?
সালামথাং-এর কাছাকাছি হোমস্টে থাকার সুবিধা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনারা সিকিমের কাছাকাছি হোমস্টে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া হোটেল ও রিসোর্টও রয়েছে এই এলাকায়। সেই কারণে থাকা বা খাওয়ার কোনো অসুবিধাই হবে না। তাই আপনি যদি একটা পারফেক্ট হলিডে প্ল্যান করতে চান তাহলে এখানে আসতেই পারেন।