নিউজশর্ট ডেস্কঃ ঘুম থেকে উঠে খাও দাও অফিসে যাও, রোজকার এই বাঁধাধরা জীবন থেকে মুক্তি পেতে এক বা দুদিনের ছুটি সত্যিই ম্যাজিকের মত কাজ করে। ঘুরতে যাওয়ার কথা উঠলেই অনেকে দিঘা, মন্দারমণি কিংবা বকখালীর কথা বলেন। কিন্তু সেখানেও ভিড়! তবে চিন্তা নেই, আজ এমন একটি জায়গার খোঁজ দেব যেখানে নেই পর্যটকের ভিড় আছে ঝর্ণা, জঙ্গল থেকে পাহাড়।
কলকাতার কাছেই অফবিট ডেস্টিনেশন
আজ যে জায়গার কথা বলব সেটা হল ধানবাদ। ভাবছেন সেখানে আবার দেখার মত কি আছে? তাহলে আজকের প্রতিবেদনটা পড়েই দেখুন আশা করি নিরাশ হবেন না। ধানবাদে মূলত তিনটি জায়গা আছে যেখান থেকে একদিনেই ঘুরে আসা যায়। জায়গাগুলি হল – ভাটিন্ডা ওয়াটার ফলস, তোপচাঁচি গ্রামের বাঁধ ও উশ্রী ওয়াটার ফলস। কিভাবে যাবেন আর গিয়ে কি কি দেখবেন? সমস্ত তথ্য নিচে দেওয়া হল।
কিভাবে পৌঁছাবেন ধানবাদ?
আপনি যদি ট্রেনে করে আসেন তাহলে হাওড়া থেকে ধানবাদগামী যে কোনো ট্রেনে উঠে পড়তে পারেন। তবে যদি একদিনের প্ল্যান থাকে তাহলে ভোরের দিকের ট্রেন যেমন শতাব্দী এক্সপ্রেস বা ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসে করে ধানবাদ পৌঁছে যেতে পারেন। ট্রেনে গেলে ধানবাদে নেমে আপনাকে আলাদা করে গাড়ি ভাড়া করতে হবে। আর যদি প্রাইভেট গাড়িতে যান তাহলে সোজাই ডেস্টিনেশনে পৌঁছে যেতে পারেন।
যদি ট্রেনে করে যান তাহলে প্রথমেই ধানবাদ স্টেশনে নেমে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের দিকে চলে যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে প্রথমেই রওনা দিতে হবে ভাটিন্ডা ওয়াটার ফলসের দিকে। যাওয়ার পথে রাস্তার দুই ধরে দৃশ্যই আপনার মন ভালো করে দেবে। তবে ভাটিন্ডা ঝর্ণা দেখার আগে টিকিট কাটতে হবে তার জন্য ৫০ টাকা খরচ হবে। এরপর কিছুটা পথ গেলেই দেখা যাবে ঝর্ণা।
ভাটিন্ডার পরের গন্তব্য হল তোপচাঁচি গ্রাম। জানলে অবাক হবেন একাধিক সিনেমার শুটিং হয়েছে এই গ্রামে। আজও নানান শুটিংয়ের জন্য এই গ্রাম বেশ পরিচিত। এখানে দেখার মধ্যে রয়েছে তোপচাঁচি গ্রামের বাঁধ আর উত্তমকুমারের বাড়ি। বাঁধের কাছে পৌঁছালে দূরেই দেখা যায় পরেশনাথ পাহাড় আর সামনেই বয়ে চলে যদি।
এবার শেষ গন্তব্য হল উশ্রী ওয়াটার ফলস। সেটার দূরত্ব উত্তমকুমারের বাড়ি থেকে প্রায় ৬৮ কিমির মত। সেখানে পৌঁছে গেলে ভিউ পয়েন্ট থেকে চারিদিকের সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন। তারপর নিচে নেমে ঝর্ণার জলে পা ভেজানো যেতেই পারে। সব মিলিয়ে একদিনের ছুটির জন্য কমবেশি পারফেক্ট বলাই যেতে পারে।