নিউজ শর্ট ডেস্ক: নতুন বছর আর শীতের শিরশিরানি হাওয়ায় সারাক্ষণ যেন হাতছানি দিচ্ছে জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়। দিনে দিনে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিদের মধ্যেও বাড়ছে অফবিট (Offbeat) পাহাড়ি ডেস্টিনেশনে যাওয়ার হিড়িক। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে শৈলশহর দার্জিলিং-এর আশেপাশে অবস্থিত সিটং। নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্যে মোড়া বিখ্যাত এই পর্যটন কেন্দ্র থেকেই মাত্র সাত কিমি দূরেই রয়েছে পাহাড় এবং জঙ্গলের ঘেরা এক সুন্দর অজানা গ্রাম মহলদিরাম (Mahaldiram)।
এই সুন্দর পাহাড়ি গ্রামের বারান্দায় দাড়িয়েই ছোঁয়া যায় মেঘ। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতেই উপভোগ করতে পারবেন টি গার্ডেনের চা-পাতা তোলার দৃশ্য। এখানে একইসঙ্গে হামাগুড়ি দেয় মেঘ, রোদ, পাহাড় আর জঙ্গল।এখানে চাইলে ছোটোখাটো ট্রেকিং করতে করতেই প্রকৃতিকে উপভোগ করা যায়। বিভিন্ন ধরনের অর্গানিক সবজি পাওয়া যায় এখানে।
আর মূল আকর্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘা-ও দেখার সৌভাগ্য হয় এই মহলদিরাম থেকে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন জলরঙে আঁকা কোন ছবির অ্যালবাম। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে মহলদিরামের দূরত্ব ৬২ কিমি। এছাড়া কার্শিয়াং থেকে মাত্র ১২ কিমি দূরত্বে অবস্থিত।এখানকার প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকেই গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে মহলদিরামে।
হিলকার্ট রোড ধরে কার্শিয়াং পেরিয়েই পৌঁছানো যাবে দিলারাম মোড়। এই দিলারাম থেকে মাহালদিরাম ১২ কিমি।এখানেই রয়েছে বেশ কয়েকটি হোমস্টে। চাইলে সেখানেই থাকা যাবে পুরো পরিবার নিয়ে। ‘মহলদিরাম সালামান্দার জংল ক্যাম্প’ দারুণ। তবে নামে ক্যাম্প হলেও এটি আসলে দারুন সুন্দর একটি হোমস্টে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় রেলে কাজের সুযোগ, ৩৯৯৯ টাকা দিয়ে এই ব্যবসা করলে মাসে কামাবেন ৮০ হাজার টাকা!
বলা ভালো দুতলা বাড়ি। এখানে খাওয়া-দাওয়া থেকে থাকা মাথাপিছু মোট খরচ ১৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা। তবে এই খরচ ওঠা নামা করে কোন সিজনে আপনি ঘুরতে যাচ্ছেন তার ওপর।