সনাতন ধর্মে বেল পাতাকে বিশেষ পবিত্র মানা হয়। জানিয়ে রাখি বেল গাছকে দেবাদিদেব মহাদেবের আরেক রূপ বলে মানা হয়। কথিত আছে, শ্রাবণ মাসে দূরত্ব কমে যায় দেবতা আর ভক্তদের মধ্যে। তিনটি বেলপাতা একত্রে ঈশ্বরের চোখ বলে মান্য করা হয় এবং শাস্ত্রে বলা হয় এক ঘট জল এবং বেল পাতাতেই সন্তষ্ট হয়ে যান মহাদেব। সেই কারণেই শিবের আরাধনার অন্যতম উপকরণ হল বেলপাতা।
তবে যদি কখনও যদি বেলপাতা না থাকে তাহলে কি মহাদেবের আরাধনা করা যাবেনা? জানিয়ে রাখি বেল পাতা দেবাদিদেবের বিশেষ পছন্দের হলেও ভক্তদের কখোনোই কোনো কারণেই বঞ্চিত রাখেননা তিনি। বেল পাতা ছাড়াও এই পাতা দিয়ে পুজো করলেও খুশি হন মহাদেব।
শমী ও অপমার্গ পাতা:- শাস্ত্রমতে শমী পাতাও বেল পাতার মতোই শুভ মনে করা হয়। কথিত আছে এই পবিত্র শ্রাবন মাসে শমী পাতা দিয়ে দেবাদিদেবের আরাধনা করলে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। শমী পাতা দিয়ে গনেশ পুজোও করা যায়। অন্যদিকে অপমার্গ পাতা দিয়ে নৈবদ্য দিলেও তা গ্রহণ করেন মহাদেব।
অশ্বত্থ পাতা:- বেল পাতার জায়গায় অশ্বত্থ পাতা দিয়েও মহাদেবের পুজো করা যায়। ভক্তিভরে ডাকলে এতেও সন্তষ্ট হন দেবাদিদেব।
ধুতরো পাতা:- শাস্ত্র মতে বলা হয়, বেলপাতা না থাকলে ধুতরো পাতাও নিবেদন করা যায় মহাদেবের চরণে। ধুতরো ফুল, ফল কাঁটা সবকিছুই গ্রহণ করেন তিনি এবং ভক্তদের আশীর্বাদও দেন।
দূর্বা ঘাস:- দীর্ঘায়ুর জন্য দূর্বা ঘাস নিবেদন করা হয় মহাদেবের চরণে। বলা হয় দূর্বার মধ্যে অমৃত আছে। তাই বেল পাতার অভাবে দূর্বা দিয়েও দেবাদিদেবকে তুষ্ট করা যায়।
বাঁশ পাতা:- সন্তানলাভের ইচ্ছা থাকলে বাঁশ পাতা নিবেদন করুন মহাদেবের চরণে। পুরাণ অনুসারে, বাঁশ পাতাও গ্রহণ করেন মহাদেব।
আকন্দ:- পুরাণে বলা আছে আকন্দ ফুল বিশেষ প্রিয় নীলকন্ঠের। মৃত্যুযোগ কাটাতে শিবের চরণে আকন্দ ফুল ও পাতা নিবেদনের কথা বলা আছে। অপরদিকে প্রসাদ হিসেবে ভাঙ বা সিদ্ধির বিশেষ উল্লেখ রয়েছে পুরাণে।