বলিউড জগতের এক অন্যতম নাম অমিতাভ বচ্চন। প্রায় পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বলিউড মাতিয়ে রেখেছেন এই অভিনেতা। দু’শোরও বেশি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এখনও অভিনয় করছেন বিগ বি। বরাবরই এই অভিনেতাকে ভীষন পছন্দ করেন দর্শকেরা। নানান চরিত্রে দর্শকদের সামনে নিজেকে মেলে ধরেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। তিনি ছবিতে থাকলেই সেই ছবি সুপার ডুপার হিট।
কিন্তু অমিতাভের এই জনপ্রিয়তা নিয়ে বার বার ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তাঁরই সময়ের বলিপাড়ার আর এক অভিনেতা ওম পুরি। মরাঠি ছবি ‘ঘাসিরাম কোতওয়াল’-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু ওম পুরির। সংলাপ বলার সময় শব্দ নিয়ে খেলা করতেন অভিনেতা, বলিপাড়ার অনেকেই ওম সম্পর্কে এমনটাই মনে করতেন। অমিতাভকে চোখের সামনে তারকা হতে দেখেছেন এই অভিনেতা।
অমিতাভ এবং ওম সমকালীন অভিনেতা হলেও ‘বিগ বি’র মতো কাজের সুযোগ পেতেন না ওম। অন্তত তেমনটাই দাবি ওম পুরির।তাই অমিতাভের ওপর একটা চাপা রাগ বরাবরই লক্ষ করে গিয়েছে এই অভিনেতার মধ্যে। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অমিতাভের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ওম পুরির অভিযোগ, তিনি দেখতে ভালো ছিলেন না। অমিতাভের তুলনায় উচ্চতায় ছিলেন ছোট। আর সে কারণেই তাঁকে পছন্দ করত না ইন্ডাস্ট্রি। বরং অমিতাভ সুদর্শন হওয়ায় এবং উচ্চতায় বেশি হওয়ায় তাঁকেই দেওয়া হত সুযোগ। কিন্তু অভিনয় গুণে তিনি অমিতাভের থেকে কোনও অংশে কম যান না এমনই দাবি করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।
একই সময়ের অভিনেতা হলেও অমিতাভ এবং ওমকে সে ভাবে কখনও একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। ২০০৩ সালে ‘দেব’ ছবিতে অমিতাভের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ওম। এই দুই অভিনেতার মধ্যে হঠাৎ করেই শুরু হয় দূরত্ব। তার জন্য অবশ্য ওমকেই দায়ী করেন বলিপাড়ার একাংশ।
১৯৮৫ সালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অমিতাভের প্রতি সমস্ত ক্ষোভ উগরে ফেলেন ওম। ওম বলেন, ‘‘কুকুর কোনও জায়গায় বসার সময় আগে লেজ দিয়ে তা পরিষ্কার করে ফেলে। তার পর সেখানে বসে। ইন্ডাস্ট্রিতে এমন কয়েক জন রয়েছে যারা পরজীবীর মতো ঘুরে বেড়ায়। তারা শুধু নিয়েই যায়, কিন্তু ফেরত দেওয়ার বেলায় তাদের পকেট গড়ের মাঠ।’’
২০১৭ সালে আবার অমিতাভের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন ওম। সেই সময় ওমের হাতে কাজ ছিল না। কিন্তু অমিতাভ একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে যাচ্ছেন। যদিও আই অভিনেতার মৃত্যুর পর অমিতাভ বচ্চন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেকেন,’ ওম ওর হাসি নিয়ে আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে। ও আমার ভাল বন্ধু, সহকর্মী ছিল। বহু গুণের অধিকারী ছিল ওম।’
