once dharmendra slapped by tanuja due to this reason:

Papiya Paul

‘নির্লজ্জ’ বলে ধর্মেন্দ্রকে সপাটে চড় মারেন এই বলিউড সুন্দরী, লজ্জায় মাথা নত হয় অভিনেতার

নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে(Indian Cinema) ধর্মেন্দ্রর(Dharmendra) কী অবস্থান তার আর কাউকে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনা। নিজের অনবদ্য স্টাইল দিয়ে অসাধারণ পরিচিতি তৈরি করেছিলেন সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের সুঠাম চেহারার জন্যেও বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন তিনি। ধর্মেন্দ্র তাঁর দৃঢ় ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় দক্ষতার জন্য ‘হিমন’ নামেও বহুল পরিচিত ছিলেন। এযাবৎ নিজের দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বহু সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের।

   

প্রসঙ্গত, বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী এবং সফল এই অভিনেতা ভারতীয় মহিলাদের সাথে বহু অভিনেত্রীদেরও রাতের ঘুম উড়িয়েছেন একসময়। সেই সময়কার বহু অভিনেত্রীর মুখেই শোনা যায় যে, সেই সময়কার বাকি সমস্ত অভিনেতার মধ্যে ফ্লার্টিং’এর দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। খুব কম মানুষই এটা জানেন যে, এই ফ্লার্ট করতে গিয়ে চড়ও খেতে হয়েছিলো ধর্মেন্দ্রকে। আজ এই প্রতিবেদনে ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত জীবনের এমনই কিছু অজানা এবং মজার তথ্য তুলে ধরবো যা জানলে অবাক হবেন আপনিও।

একথা তো সকলেরই জানা যে, একসাথে কাজ করতে করতে যেমন একে অপরের বন্ধু হয়ে যায় মানুষ তেমনই কেউ কেউ আবার বাড়িয়ে নেয় শত্রুতাও। জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুজা(Tanuja) আর ধর্মেন্দ্রর মধ্যেকার সম্পর্কও অনেকটা এরকমই। ৬০ এবং ৭০ দশকের অন‌তম জনপ্রিয় জুটি ছিলো তনুজা এবং ধর্মেন্দ্র। “চাঁদ অর সুরজ”, “বাহারে ফির আয়েগি”, “ইজ্জত” এবং “দো চোর” এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সময় তনুজা এবং ধর্মেন্দ্র ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন। এমতাবস্থায় দুজনের মধ্যে এমন একটা অভাবনীয় ঘটনা ঘটে যে, তনুজা ধর্মেন্দ্রকে শুধু চড়ই মারেননি, বরং অভিনেতাকে নির্লজ্জ বলেও অপমান করেছিলেন।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘চাঁদ এবং সুরজ’ ছবির শুটিং চলাকালীন দুজনের মধ্যে খুনসুটি লেগেই থাকতো। ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মেন্দ্র ছিলেন বিন্দাস টাইপের মানুষ। সেইসময় তিনি প্রেমিক সুলভ আচরণের কারণে প্রতিটি কো-স্টারের সাথে একটু বেশিই ফ্লার্ট করতেন। অপরদিকে তনুজাকে সবাই ধীর, স্থির, বিচক্ষণ প্রকৃতির মানুষ বলেই চেনে। এমতাবস্থায় মজার ছলে ধর্মেন্দ্র একদিন তনুজার সাথেও প্রেমালাপ করার চেষ্টা করলে অভিনেত্রী তনুজা ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্মেন্দ্রকে চড় মারেন। শুধু তাই নয় তিনি বলেন, “নির্লজ্জ, আমি আপনার স্ত্রীকে চিনি আর আপনি আমার সাথে ফ্লার্ট করছেন।” এমতাবস্থায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ধর্মেন্দ্র ক্ষমাও চায় তনুজার কাছে।

ঘটনার পর রীতিমতো বিব্রত হয়ে পড়েন ধর্মেন্দ্র। আসলে তাঁর কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিলোনা। তিনি মজার ছলেই কথা বলছিলেন তনুজার সাথে। তবুও নিজের ভুল সংশোধন করে তিনি কৃষ্ণা চেয়ে বলেন, “তনু আমার মা, আমি দুঃখিত, দয়া করে আমাকে তুমি নিজের ভাই বানিয়ে নাও।” অন্যদিকে তনুজা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমার একটি ভাই আছে এবং এটাই যথেষ্ট, এবং আমি তাকে নিয়ে খুব খুশি, আমি তোমাকে ভাই বানাবো না।” কিন্তু ধর্মেন্দ্রও নিজের জেদে অটল, তিনি মনস্থির করেই নিয়েছিলেন যে  তনুজাকে নিজের বোন বানিয়েই ছাড়বেন। এমন জেদ ধরেছিলেন যে শেষমেষ তনুজাকে তার কব্জিতে একটি কালো সুতো বাঁধতে হয়েছিল।