কৃশানু ঘোষ, কলকাতাঃ বর্তমানে ইলেকট্রিক স্কুটারের চাহিদা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। এর একাধিক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কম খরচ, এবং কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ। ইলেকট্রিক স্কুটার ব্যবহার করলে আপনার দৈনন্দিন যাতায়াতের খরচও কমে যায় অনেক। এর দাম বাজারে উপলব্ধ অন্যান্য দু-চাকাগুলির থেকে অনেকটাই কম। সাথে ইলেকট্রিক স্কুটার পরিবেশ-বান্ধব।
কম খরচ কেন হয়?
ইলেকট্রিক স্কুটারগুলি যেহেতু ব্যাটারিতে চলে, ফলে এতে তেল ভরার প্রয়োজন হয় না, চার্জ দিলেই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন। আর তেল কিনতে হয় না বলেই ইলেকট্রিক স্কুটারের মাসিক খরচ হয় অনেকটাই কম। বেঁচে যায় মোবিল পরিবর্তনের খরচও। এর পাশাপাশি এর যন্ত্রাংশের দামও অনেক কম হয়।
এতে রয়েছে বিভিন্ন উন্নত মানের ফিচার্স
বর্তমানে একাধিক সংস্থা ইলেকট্রিক স্কুটারে লঞ্চ করছে। ফলে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য প্রতিটি ইলেকট্রিক স্কুটারে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন উন্নত মানের ফিচার্স, যার মধ্যে রয়েছে অ্যাপ কানেক্টিভিটি, ব্লুটুথ, টাচ স্ক্রিন, হিল অ্যাসিস্ট, বা গুগল ম্যাপের মতো নানা ধরনের ফিচার্স রয়েছে।
আরও পড়ুন: আপনিও পেয়ে যাবেন BH সিরিজের নম্বর প্লেট! কী কী সুবিধা, আবেদন করবেন কীভাবে?
উন্নত মানের রেঞ্জ
বর্তমানে সচরাচর ব্যবহারের পেট্রোল চালিত বাইক বা স্কুটিগুলি ৪০ থেকে ৭০ কিমির মধ্যে মাইলেজ প্রদান করে। কিন্তু বর্তমানে ইলেকট্রিক স্কুটারগুলি খুবই উন্নতমানের রেঞ্জ প্রদান করছে। কিছু কিছু ইলেকট্রিক স্কুটার ১০০ থেকে ১৩০ কিমির মতো রেঞ্জ প্রদান করছে। অর্থাৎ, এক চার্জেই আপনি ১৩০ কিমি পর্যন্ত নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারবেন।
দাম | 5 Electric Scooters & Price
দেশে জনপ্রিয় ইলেকট্রিক স্কুটার সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে ৫টি জনপ্রিয় সংস্থা (Best 5 Electric Scooters), যেমন এথারের ৪৫০ সিরিজ ও রিজতা সিরিজ, ওলার বিভিন্ন স্কুটার, বাজাজ চেতক, টিভিএস আইকিউব, এবং হিরো ভিডা। আর দামের দিক থেকেও এগুলি বেশ জনপ্রিয়, যেগুলি ৭৫ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে, প্রতিটি বাইকই আপনি EMI-এর সাহায্যে কিনতে পারেন, যার ফলে মাসিক কিছু টাকার কিস্তি দিয়ে আপনি এই স্কুটারগুলি পেয়ে যাবেন।
