নিউজশর্ট ডেস্কঃ সামনে আসছে ভ্যালেন্টাইনস উইক। আর এই সময়ে প্রেমিক-প্রেমিকেরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে ভালোবাসেন। তবে অনেক প্রেমিক যুগল রয়েছেন। যারা রাস্তায় ঘোরার পরিবর্তে কিংবা রেস্টুরেন্টে সেলিব্রেশনের পরিবর্তে বিভিন্ন হোটেলে রুম ভাড়া করে থাকছেন। তবে এইসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ জায়গায় অপরাধমূলক কাজ হচ্ছে।
রুম ভাড়া করে বহু জায়গায় তৈরি হচ্ছে নীল ছবি। এর পাশাপাশি সহবাসের ভিডিও করে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। আর এই সমস্ত বেশি অভিযোগ উঠছে ওয়ো রুমকে(Oyo Room) কেন্দ্র করে। বহু মানুষ এই ওয়ো রুমে গিয়ে এই সমস্ত অপরাধমূলক কাজ করছেন বলে জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশ(Kolkata Police)। আর তাই এই অপরাধের খবর পেয়ে এবার শক্ত হাতে পুরো বিষয়টি বন্ধ করার জন্য তৈরি হয়েছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এবার আর কোন কিছু বরদাস্ত করা হবে না। সম্প্রতি এই অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পুলিশকর্তারা ৩০টির বেশি ওয়ো হোটেল অপারেটরদের সঙ্গে নিয়ে সেমিনার করেছেন। সেখানে সম্পূর্ণরূপে বলা হয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা। ওয়ো কর্তৃপক্ষ অতিথিদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যেমন বদ্ধপরিকর, ঠিক তেমনি অনৈতিকর কার্যকলাপ বুঝতে পারলেই পুলিশকে যাতে খবর দেয় সে বিষয়ে জানানো হয়েছে।
কোন ব্যক্তি যাতে রুম ভাড়া করে অনৈতিক কোনো কাজ করতে না পারে সেই দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার প্রিয়ব্রত রায় সেমিনারের প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ওয়ো পর্যটনের প্রচারে এবং ভারতের মানুষের জন্য আতিথিয়তা পরিষেবাকে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পর্যটন বৃদ্ধির সঙ্গে আমরা আইন-শৃঙ্খলার সমস্যারও অনেক সম্মুখীন হচ্ছি। আমি হোটেলগুলোকে নির্দেশ দিচ্ছি অতিথিদের বৈধ ফটো আইডি কার্ড দেখে যেন রুম দেওয়া হয়।
এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন যে হোটেল ও তার সংলগ্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া হোটেলে থাকা প্রত্যেক ব্যক্তির সম্পর্কে সঠিক তথ্য রেকর্ড করে রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সাল থেকে ওয়ো রুমের পরিষেবা শুরু হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি চন্ডিগড়, লখনৌ সহ ভারতের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরেও ওয়ো রয়েছে। অভিযোগ এসেছে যে ওয়ো রুমের আড়ালে হিউম্যান ট্রাফিকিং-এর মত জঘন্য অপরাধমূলক কাজও করা হচ্ছে। তবে এবার কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করাতে এই অপরাধ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।