আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন পরেশ। দীর্ঘ কেরিয়ারে কাজ করেছেন একাধিক ছবিতে। তিনি যে কতটা ভার্সাটাইল তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তার দূর্দান্ত অভিনয় দিয়ে। কমেডি থেকে সিরিয়াস সবেতেই তিনি সমান সাবলীল।
দীর্ঘ চারটে দশক পার করে আজ তিনি বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা। এতদিনে বহুকিছুই দেখেছেন কাছ থেকে। তার মতে, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন পড়ে বটে কিন্তু বৈভব প্রদর্শনে অভিনয় ক্ষমতা বেড়ে যায়না।
আসলে দিনকয়েক আগে, নীলেশ মিশ্রের ‘স্লো ইন্টারভিউ’ শো-এ অতিথি হয়ে এসেছিলেন পরেশ রাওয়াল। আর সেখানেই বি টাউনের একাধিক খ্যাতনামা তারকার প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। কথা ওঠে প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী ইরফান খানেরও।
অভিনেতার ভূয়ষী প্রশংসার পর বর্তমান প্রজন্মের কথাও তুলে আনেন। তিনি বলেন, ‘অভিনয়ে ভবিষ্যৎ গড়তে হলে অভিনেতাদের কিছু ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন পড়ে। জীবনধারণ নিয়ে তাঁদের সব সময় ভাবলে চলে না। শিল্পীদের উচিত সব সময় কাজেই মন দেওয়া।’
এর সাথে তিনি আরও বলেন, ‘বৈভব দেখানো কারও উদ্দেশ্য হতে পারে না। একটা বিএমডব্লিউ তোমার মর্যাদার প্রতিফলক হতে পারে না। বিএমডব্লিউ থেকে নামো কিংবা রিকশা থেকে— তুমি কেমন অভিনয় করো, এ সব দিয়ে বিচার হবে না। যারা কাজে পটু নয়, এগুলো তাদের মাথায় রাখা উচিত।’
তবে বিলাসবহুল জীবনযাত্রার বিরোধী তিনি? উঁহু, মোটেও তেমনটা নয়। অভিনেতা বলেন, যাদের রোজগার প্রচুর বেশি তারা কিনুক, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু হঠাৎ করে টাকা এবং ফেম পেয়ে তাতে হারিয়ে যাওয়াটা বোকামি। এই প্রবীণ তারকার মতে, ফেমের নেশাই নাকি শেষ করছে নবীন প্রজন্মকে।