নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাঙালি পর্যটকদের কাছে সবথেকে কাছের এবং পছন্দের ঘুরতে যাওয়ার জায়গা হল দীঘা(Digha)। হাতে দু-একদিনের ছুটি পেলে এবং বাজেট কম থাকলেও দীঘায় ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। আর তাই সারা বছরই দীঘায় পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে।
যারা দীঘাতে একবার হলেও ঘুরতে গিয়েছেন তারা দীঘাতে একটা জিনিস নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন। যে জিনিসটা জোয়ারের সময় ডুবে যায়। আবার ভাটার সময় ভেসে ওঠে। কিন্তু সেই জিনিসটি কি? যেটি জানার ইচ্ছে সকলের মধ্যেই রয়েছে। আজকের এই প্রতিবেদনে এই জিনিসটি সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। তাহলে আপনাদের কৌতূহল মিটে যাবে।
ওল্ড দিঘার সমুদ্রসৈকতে আপনি গেলে এই জিনিসটি দেখতে পাবেন। এই জিনিসটি হল একটি ভগ্ন স্তূপ। যা সমুদ্রে জোয়ারের সময় সম্পূর্ণভাবে ডুবে যায়। আর ভাটার সময় আবার ভেসে ওঠে। যারা গিয়েছেন তারা অনেকেই এই জিনিসটি দেখেছেন। আর দেখা মাত্রই এই জিনিসটি নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
আসলে আজকের দীঘার সঙ্গে অতীতের দীঘার বিস্তর ফারাক ছিল। আগে দিঘাকে বীরকুল নামে ডাকা হতো। এই বীরকুল অষ্টাদশ শতকের শেষ ভাগে আবিষ্কৃত হয়েছিল। ওয়ারেন হেস্টিংস-এর লেখা একটি চিঠিতে এই ভগ্নস্তুপকে ‘প্রাচ্যের ব্রাইটন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ওল্ড দিঘা সমুদ্র সৈকতের কাছেই এই জিনিসটি লক্ষ্য করা যায়। আসলে এই ভগ্নস্তুপটি হল একটি ওয়াচ টাওয়ারের অংশ।
আবহাওয়া বিষয়ক বিভিন্ন নজরদারি চালানোর জন্য গড়ে তুলেছিল। ওয়ারেন হেস্টিংস-এর সময়কালে এরপর দীর্ঘদিন পর ভাঙতে ভাঙতে অবশেষে ভগ্নস্তুপে এসে দাঁড়িয়েছে। এই ভগ্নস্তুপ নিয়ে আঞ্চলিক ইতিহাসবিহিত শিক্ষক সুদর্শন সেন জানিয়েছেন যে দীঘার বর্তমান রূপের সঙ্গে অতীতের রূপের অনেক পার্থক্য রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীঘায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দিঘার অতীতের কাহিনী খুঁজে পাওয়া অনেক মুশকিল কারণ বারেবারে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। বর্তমানে এই একটি ভগ্নস্তূপ লক্ষ্য করা যায়।