নিউজশর্ট ডেস্কঃ রাতারাতি নিজেদের ভাগ্য বদল করার আশায় বহু মানুষ লটারিতে টিকিট কাটেন। আর সত্যিই এই লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার খবর নতুন না। বহু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা এই লটারি কেটে নিজেদের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন। আজকে এমনই একজন লটারি(Lottery) বিজেতার কথা আপনাদেরকে জানাবো। যিনি নিজে ছিলেন আচার বিক্রেতা, লটারি কেটে রাতারাতি হয়ে গিয়েছেন কোটিপতি।
বীরভূমের(Birbhum) মুরারই এক নম্বর ব্লকের পলশা গ্রামে এই আচার বিক্রেতার জীবনে বিরাট বদল ঘটেছে। ৩০ টাকা দিয়ে লটারি টিকিট কেটেছিলেন তিনি। বিকেলের সেই লটারি টিকিটের রেজাল্ট দেখে চোখ কপালে উঠেছে তার। তার কারণ ৩০ টাকার লটারিতে তিনি হয়ে গিয়েছেন কোটিপতি। এই ব্যক্তির নাম নুর আলম শেখ।
বীরভূমের মুরারই এক নম্বর ব্লকের পলসা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় একজন আচার বিক্রেতা। ১০ নভেম্বর ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন এই আচার বিক্রেতা। এরপর বিকেলে যখন তিনি রেজাল্ট দেখেন তখন তার চক্ষু চড়কগাছ। তার টিকিটেই মিলেছে ১ কোটি টাকার পুরস্কার। নিজের চোখেই তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। প্রতিদিন নিজেদের গ্রাম থেকে পাশের গ্রামে ঘুরে ঘুরে আচার বিক্রি করেন নুর আলাম শেখ। সারা গ্রাম ঘুরে তার রোজগার হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা মতো।
আরও পড়ুন : টাকার গাছ, ঝাড়লেই লাখ লাখ টাকা! এই ব্যবসা করলে ভবিষ্যতের চিন্তা করতে হবে না
সেটা দিয়েই তিনি বহু কষ্টে সংসার চালান। নিজের ভাগ্য বদলানোর জন্য ৩০ টাকা দিয়ে লটারি টিকিট কাটেন। আর এই লটারি টিকিটে তিনি এক কোটি টাকা পুরস্কার পান। এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে খুব কষ্ট করে সংসার চালান তিনি। এবার এই এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়ে একদিকে যেমন তার আনন্দ হচ্ছে ,তেমনি আতঙ্কিত রয়েছেন তিনি। নিজের নিরাপত্তা চেয়ে মুরারাই থানার দারস্ত হয়েছেন নূর। এখন এত টাকা দিয়ে তিনি কি করবেন কিছুই তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।