পার্থ মান্নাঃ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে কাঁকসা থানার এলাকায় ঘটেছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। প্রকাশ্য দিবালোকে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে পুলিশের একটি টহলদারি গাড়ি ছিনতাই করে দূষ্কৃতিরা। গাড়িতে থাকা দুটি সার্ভিস রাইফেলও ছিনতাই করা হয়। তবে এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আসানসোল শহরে সেই গাড়ি উদ্ধার হয় এবং পুলিশ রাইফেলগুলোও ফেরত পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশের গাড়ি থেকেই ছিনতাই
এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ মহলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে। ঘটনাটি ঘটার পরই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠে। ছিনতাই হওয়া গাড়িটিকে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ খুঁজে পায়। তারপরেই সেটিকে দ্রুত কাঁকসা থানায় হস্তান্তর করার ব্যবস্থা করা হয়।
কীভাবে ঘটল ছিনতাই?
সোমবার সকালে কাঁকসা থানা এলাকার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিশের টহলদারি গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়ির চালক ও পুলিশ কর্মীরা গাড়ির থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন। এই সুযোগেই দূষ্কৃতিরা গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়। গাড়িতে পুলিশের দুটি সার্ভিস রাইফেলও ছিল, যা পরে উদ্ধার হয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশ নাকা চেকিং শুরু করে।
ছিনতাইয়ের পরের পরিস্থিতি
এই ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ছিনতাইকারীরা গাড়িটি আসানসোলের জিটি রোডের হটন রোড মোড়ের কাছে ফেলে পালিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই নাকা চেকিং চলছিল, যা দেখে ছিনতাইকারীরা ভীত হয়ে গাড়িটি ফেলে পালায়।
ইতিমধ্যেই ছিনতাইয়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে দূষ্কৃতিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশের ধারণা, গাড়িটি সম্ভবত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ছিনতাইকারীরা ফেলে রেখে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
পুলিশ কমিশনারেটের প্রতিক্রিয়া
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস এই ঘটনায় কোনো বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি। তবে জানা গেছে, ঘটনায় জড়িত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
ছিনতাইকারীদের উদ্দেশ্য
এখনও পরিষ্কার নয়, কেন দূষ্কৃতিরা গাড়িটি ছিনতাই করে এবং পরে তা ফেলে রেখে পালায়। অনেকেই ধারণা করছেন, নাকা চেকিংয়ের কারণে তারা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনার আপাতত তদন্ত করছে পুলিশ ও দূষ্কৃতিদের ধরার চেষ্টা চলছে। পুলিশ বিভাগের সতর্কতা ও দ্রুত পদক্ষেপের জন্যই গাড়ি ও অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তবে ঘটনার পুরো সত্য উদঘাটনে আরও সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।