নিউজশর্ট ডেস্কঃ এখন লোকসভা ভোটে নিয়ে সরগরম গোটা দেশ। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে নানা রকমের প্রকল্প চালু করা হয়েছে। আর এবার বিজেপির তরফ থেকে যে ইস্তেহার জারি করা হয়েছে সেখানে মুদ্রা প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই মুদ্রা প্রকল্প(Pradhanmantri Mudra Yojana) সংক্রান্ত বিশেষ ঘোষণা করেছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি।
আজকের এই প্রতিবেদনে এই মুদ্রা প্রকল্প সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা চালু করা হয়েছিল। ক্ষুদ্র শিল্প ব্যবসায়ীরা এই প্রকল্পের সাহায্যে ব্যবসা করার জন্য লোন নিতে পারবেন। ভারতবর্ষ জুড়ে প্রায় পাঁচ কোটিরও বেশি ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে। যেখানে ১২ কোটিরও বেশি মানুষ কাজ করছেন।
বহু মানুষ নিজেদের সামান্য পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। আবার অনেকে টাকার অভাবে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না সেই সমস্ত মানুষকে সাহায্য করার জন্য মুদ্রা যোজনা শুরু করা হয়েছে। তবে এই প্রকল্পে ঋণ নিতে গেলে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। সবার প্রথমে এই প্রকল্প থেকে লোন ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য নেওয়া যাবে না। ব্যবসায়িক খরচ করার উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পে ঋণ গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: Government: সাবধান, স্কুল পালিয়ে ঘুরতে গেলেই বিপদ! কড়া নজরদারিতে পড়ুয়ারা
এই প্রকল্পে এতদিন তিন ভাগে ঋণ দেবার ব্যবস্থা ছিল শিশু-কিশোর এবং তরুণ এই তিন ভাগে। শিশু বিভাগের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হত। কিশোর বিভাগে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আর তরুণ বিভাগে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যেত। তবে সম্প্রতি ইস্তেহার থেকে জানা গিয়েছে যে এই লোনের পরিমাণ এবার ১০ লক্ষের পরিবর্তে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ পর্যন্ত করার কথা ঘোষণা করেছে মোদী সরকার।
আর ১৮ বছর থেকে ৬৫ বছর বয়সী পর্যন্ত ভারতীয় নাগরিকেরা এই যোজনাতে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। এখানে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই গ্রাহককে নিজের ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। অন্তত এক বছরের আর্থিক লেনদেনের আয় ব্যয়ের হিসাব ব্যাংকে জমা দিতে হবে। যদি কোন গ্রাহক পূর্বে কোন লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে তাকে লোন দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: RBI: বাজারে ১০ টাকার নোটের বড়ই অভাব! বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিল RBI
এক্ষেত্রে লোন নেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষকে গ্রাহকের পরিচয়পত্র, স্থায়ী বাসস্থানের প্রমাণপত্র, আয়-ব্যয়ের হিসাব, ইনকাম ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্ত নথি, ব্যাংক ডিটেলস, কবে থেকে ব্যবসা চালু হয়েছে, কি ব্যবসা চালু হয়েছে সমস্ত কিছু সম্পর্কে তথ্য জানাতে হবে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে এক্ষেত্রে শিশু বিভাগ অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন রকমের অতিরিক্ত প্রসেসিং ফি জমা দিতে হবে না। কিন্তু তার থেকে বেশি পরিমাণে ঋণ নিতে চাইলে ০.৫০ শতাংশ প্রসেসিং ফি জমা দিতে হবে।