একটা সময় তিনি একাই সামলেছেন গোটা টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রি। অভিনয় চরিত্রগুলিকে বাস্তবে ফুটিয়ে তুলতে বারবার নিজেকে ভেঙেছেন আর গড়েছেন। কখনও আবার একই সঙ্গে দুটি আলাদা আলাদা চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। কখনও তিনি রোগা পাতলা, উসকোখুসকো চেহারার ‘বাল্মীকি’, কখনও আবার তিনি ‘গডফাদার’ ‘শ্রীকান্ত রায়’। কথা হচ্ছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে (Prasenjit Chatterjee) নিয়ে।
সম্প্রতি এক বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেতা। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আশা করছি আমাকে দেখে বেশ ভালই লাগবে বাঙালির। আবার আঁতকে উঠতে পারেন’। কমার্শিয়াল ছবির হাত ধরেই তিনি শুরু করেছিলেন অভিনয়। পরবর্তীতে জনপ্রিয় পরিচালক ঋতুপর্ণা ঘোষের হাত ধরে বদল আনেন নিজেই।
এরপর আবার সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং গৌতম ঘোষের মতো পরিচালকদের সুবাদে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘মনের মানুষ’ এবং ‘অটোগ্রাফ’-এর মত ছবি। নিজের বিষয় বলতে গিয়ে অভিনেতা জানিয়েছেন,’আমি খুব বেশি দিন একই রকম ছবি করা পছন্দ করি না। দশ বছর পর পর নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করি। এবারও এমনই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আর সেই চ্যালেঞ্জটা হল ওয়েব সিরিজে ডেবিউ করা’।
সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে প্রসেনজিৎ অভিনীত ছবি ‘জুবিলী’। একেবারে অন্যরকম চরিত্রে ছবিতে দেখা গেছে জনপ্রিয় এই তারকাকে। অভিনেতার কথায়, ‘এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর বহু ফোন, মেসেজ পেয়েছি। এখানে আমি নিজেকে ফিট ইন করাতে পেরে আমি বেশ খুশি’।
এক কথায় বলতে গেলে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম হয়েছিল প্রসেনজিতের। পার্সোনাল গাড়িতে করে স্কুলে যাতায়াত করতেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই সব কিছু বদলে যায়। অভিনেতার কথায়, ‘আমাদের জীবনে একটা বড়সড় সমস্যা নেমে আসে। হঠাৎ করেই বদলে যায় সবকিছু। মাকে দেখতাম কোনরকমে খুচরো পয়সা বের করে একটা ডিম আর দুটো আলু কিনে সেটা দিয়ে ভুজিয়া বানিয়ে দিত। আমি চাইনা পৃথিবীতে কারোর কখনও এমন পরিস্থিতি আসুক’। অভিনেতার সংযোজন,’পৃথিবীতে যত রকমের অন্যায় হয় সে সমস্তটা হয়তো আমি করতে পারব। কিন্তু কখনই কাউকে ভাতে মারতে পারবো না’