কথিত আছে সৌন্দর্যের (Beauty) নিরিখে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকেও (Aishwarya Rai Bachchan) টেক্কা দিতে পারতেন তিনি। হিন্দি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাষায় ছবি করেছেন তিনি। জনপ্রিয়তা বাড়তেই হঠাৎ করেই গায়েব হয়ে গেলেন। তবে বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রী প্রিয়া গিলের (Priya Gill) সৌন্দর্য আজও মানুষের চর্চার বিষয়।
‘সির্ফ তুম’ খ্যাত অভিনেত্রী প্রিয়া মূলত হিন্দি ছবিতেই অভিনয় করেছেন। তার পাশাপাশি পাঞ্জাবি, মালায়লাম, তামিল ও ভোজপুরি ভাষাতেও ছবি করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি, ১৯৯৫ সালে একটুর জন্য ছিটকে যান ‘মিস ইন্ডিয়া’র মুকুট থেকে। সেবার রানার আপ হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
তার ঠিক এক বছর পরেই বলিউডে কাজের ডাক পান। ‘তেরে মেরে সপনে’ ছবির হাত ধরে বি-টাউনে আত্মপ্রকাশ। আরশাদ ওয়ারসি এবং চন্দ্রচূড় সিংয়ের মত প্রখ্যাত অভিনেতারা কাজ করেছেন এই ছবিতে। তবে বক্স অফিসে সেরকম সাড়া ফেলতে পারেনি ছবিটি।
প্রথম ছবির অভিনয় দর্শকমহলে সেভাবে সাড়া ফেলতে না পারলেও ভক্তদের মনে দাগ কেটেছিল প্রিয়ার সৌন্দর্য। আর তারপরেই তিনি ‘সির্ফ তুম’ ছবির অফার পান। এই ছবিতে সঞ্জয় কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন প্রিয়া। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে।
এই একটা ছবিই প্রিয়াকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেয়। রাতারাতি স্টার তকমা চলে আসে অভিনেত্রীর নামের আগে। তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন অভিনেত্রী। এরপর ‘জোশ’ থেকে শুরু করে ‘রেড’ এরকম নানা ছবিতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। অনেকে তো তার সাথে ঐশ্বর্যর তুলনাও করতেন।
তবে প্রিয়ার ছবিগুলি সেইরকম সাফল্যের মুখ দেখেনি। কেরিয়ার ডাউন হওয়ার সাথে সাথে তিনিও হারিয়ে যেতে থাকেন। ২০০৬ সালে দক্ষিণের ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাগ্য পরীক্ষা করেন। তবে সেখানেও সফল হতে পারেননি। তাই শেষ ১৭ বছর ধরে পর্দা থেকে দূরেই রয়েছেন প্রিয়া। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন তিনি বিবাহিত এবং বলিউড থেকে দূরে ডেনমার্কে সংসার পেতেছেন।