বলিউড বললেই মাথায় আসে একঝাঁক তারকা আর তাদের জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপন। এর মধ্যে বলিউড অভিনেত্রী মানেই সৌন্দর্যের লীলাভূমি। সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যাদের মোহময়ী আবেদনে মন হারিয়েছে দেশের লাখো পুরুষ। আজ এই প্রতিবেদনে ৭০ এবং ৮০ দশকের এক অভিনেত্রীর কথা বলতে যাচ্ছি যিনি নিজের সৌন্দর্য এবং অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন আপামর ভারতবাসীকে। তবে দীর্ঘদিন ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে থাকলেও সম্প্রতি অন্য এক কারণে আবার খবরের শিরোনামে ফিরে এসেছেন তিনি।
আজ কথা হচ্ছে টিন সেলের অন্যতম পরিচিত মুখ পদ্মিনীকে নিয়ে। কিছুদিন আগেই তার ছেলে প্রিয়ঙ্ক শর্মা তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী শাজা মোরানির সাথে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন। বলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা করিম মোরানির কন্যা, সাজা মোরানি। দুই খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের সন্তান যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছে তখন সেখানে জাঁকজমক এবং আড়ম্বর থাকবে তা তো বলাই বাহুল্য। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন পদ্মিনী কোলাহাপুরে , অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বি টাউনের বেশ কিছু খ্যাতনামা নাম।
প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানেরই কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে ভক্তমহলে। ভিডিওতে পদ্মিনীকে মন খুলে নাচতে দেখে ফিরে এসেছে ৩৫ বছর আগেকার স্মৃতি। ভক্তমহল ফিরে গেছে ৩৫ বছর আগের সেই দিনে, যেদিন পদ্মিনী মাত্র ২১ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বিয়ে করেছিলেন। সেই সময় নিজের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে বেশ পরিচিতি তৈরি করেছিলেন অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা কালীন বহু সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের।
একজন শিশু শিল্পী হিসেবে প্রথমে পা রাখেন এই সিনে জগতে। এরপর ১৯৮২ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম ছবি ‘প্রেম রোগ’। বলাইবাহুল্য ছবিটি সুপারহিট হয় বক্স অফিসে এবং ইন্ডাস্ট্রিতে এক আলাদাই পরিচিতি এনে দেয় তাকে। তারপরে তিনি ‘দো দিল কি দাস্তান’, ‘বিধাতা’, ‘সৌতন’, ‘পেয়ার ঝুকতা নেহি’, ‘ওহ সাত দিন’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। যাইহোক তো এই গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী মন হারান কোনো বলিউড অভিনেতার উপর নয়, বরং বলিউডের সুপরিচিত চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ শর্মার উপর, যিনি ইন্ডাস্ট্রিতে টুটু শর্মা নামেই জনপ্রিয়।
একসাথে কাজ করতে গিয়ে বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে পৌঁছে যায় টুটু-পদ্মিনীর সম্পর্ক। দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে পরিবার বেঁকে বসে। উল্লেখ্য, তারা দুজন ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় সেই সময় তাদের পরিবারের সদস্যরা এই বিয়েতে সম্মতি দেয়নি। তারপর দুইজন পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে ১৯৮৬ সালের ১৪ আগস্ট একে অপরের গলায় মালা পরান। জানিয়ে রাখি, সমস্ত ঝড় ঝাপটা সামলে বর্তমানে বেশ সুখে সংসার করছেন দুজন।