গোটা দেশে এখন একটাই আলোচনা, আর তা হল শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) ‘পাঠান’। পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকান থেকে ফিল্ম ক্রিটিকদের জলসা, সবেতেই এখন রাজ করছে ‘পাঠান'(Pathan)। ভালো খারাপ সব মিলিয়েই ছবিটি এখন লাইমলাইটে। আর সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও (Prosenjit Chatterjee)।
সত্যি বলতে শেষ কবে হিন্দি ছবি নিয়ে এমন উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তা মনে করা সত্যিই কঠিন। দীর্ঘ ৫ বছর পর পর্দায় ফিরেছেন কিং খান। আর শাহরুখের এই প্রত্যাবর্তনের কেউ কঠোর সমালোচনা করেছেন কেউ আবার শুধুমাত্র বড়পর্দায় শাহরুখ ম্যাজিক দেখেই মুগ্ধ হয়েছেন।
তবে এই ছবি যে বক্স অফিসে ভালোই দোলা দিয়েছে সে কথা বলাই বাহুল্য। আর তারই সাথে দোলা দিয়েছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও। শাহরুখের প্রত্যাবর্তনের দারুণ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। যশ রাজের শর্ত একদিকে যেমন বক্স অফিসে সুনামি ঠেকেছে অপরদিকে ক্ষরার দিকে ঠেলে দিয়েছে টলিউডকে।
একথা হয়তো অনেকেই শুনেছেন যে, যশরাজ ফিল্মসের শর্ত অনুযায়ী পাঠান চালানোর জন্য বাংলা ছবি সরিয়ে দিতে হয়েছে হল মালিকদের। ইতিমধ্যেই এই বিতর্কে সরব হয়েছেন অঞ্জন দত্ত থেকে শুরু করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সাহেব এবং আরো অনেকে।
এইদিন জি ২৪ ঘণ্টা এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘শুধু মাত্র আমার ছবি বিপদে পড়লেই নয়, ইন্ডাস্ট্রি হিসাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। আমি বিশ্বাস করি আলোচনা করেই এর ফলাফল পাওয়া যাবে। না হলে আগামীদিনে আরও বড় বিপদ হবে। সমস্ত বড়দিনে, ছুটিরদিনে ঐ প্রযোজনা সংস্থার ছবি রিলিজ করলে, বাংলা ছবি কোথায় যাবে?’
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ‘শাহরুখ রিলিজ করেছে পাঠান। যে যাই বলুক, আমাকেও ভাবিয়ে দিয়েছে। লোকটা বরাবর আনন্দ দিয়ে গেছে। সে চারবছর পর ফিরে ফের মানুষকে আনন্দ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ও শাহরুখ খান।এটা আমাদের যাদের একটু বয়স হয়েছে, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা। শাহরুখ আমার থেকে বয়সে ছোট হলেও এই অনুপ্রেরণাটা শাহরুখ দিল।’