টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর গুরুত্ব যে কতখানি সে কথা নতুন করে আর বলার কিছু নেই। একটা সময় গোটা ইন্ডাস্ট্রিটাই নিজে হাতে সামলেছেন তিনি। বাংলা সিনেমা জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prasenjit Chatterjee)। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি ‘অমর সঙ্গী’ (Amar Sangi) যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল দর্শকমহলে। বাঙালি সিনেপ্রেমীদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল নতুন নায়কের।
তবে কেবলমাত্র প্রসেনজিৎ নয়। এই ছবিতে কাজ করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিজয়েতা পন্ডিত (Vijayta Pandit)। জানা যায়, সঙ্গীত পরিচালক যতীন পন্ডিত এবং ললিত পন্ডিতের একমাত্র বোন এই অভিনেত্রী। তাঁর রূপ সৌন্দর্য্যের প্রতি মুগ্ধ হয়েছিলেন পরিচালক রাজেন্দ্র কুমার। আর সে কারণেই ছেলে কুমার গৌরবের (Kumar Gourav) প্রথম ছবির নায়িকা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তাঁকে।
বক্স অফিসে ব্যাপক ব্যবসা করেছিল ‘লাভ স্টোরি’ ছবি। এই জুটির রসায়ন মনে জায়গা পায় দর্শকদের। তবে কেবলমাত্র অনস্ক্রিন নয় অফস্ক্রিনেও একে অপরকে মন দিয়েছিলেন বিজয়েতা-কুমার। ছবির শ্যুটিং চলাকালীন শুরু হয়েছিল তাঁদের প্রেমকাহিনী। কিন্তু এই সম্পর্ক মোটেই পছন্দ ছিলনা পরিচালক রাজেন্দ্র কুমারের। বাবার মন রাখতে প্রেমিকাকে ভুলে যান গৌরব।
কুমার গৌরবের এই সিদ্ধান্ত মোটেই মেনে নিতে পারেননি বিজয়েতা। আর সে কারণেই অভিনয় জগৎ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তবে ৪ বছর পর তিনি আবারও ফিরে আসেন অভিনয় জগতে। তবে তাঁর অভিনীত একটি ছবিও বক্স অফিসে সাফল্য আনতে পারেনি।
এরপর পরিচালক সমীর মালকনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। প্রেম করে বিয়ে করলেও মাত্র ২ বছর টিকেছিল এই সম্পর্ক। তারপরেই আলাদা হয়ে যায় তাঁদের পথচলা। ১৯৯০ সালে পরিচালক আদেশ শ্রীবাস্তবের সঙ্গে দ্বিতীয়বার গাঁটছড়া বাঁধেন বিজয়েতা। ঘর আলো করে আসে দুটি পুত্র সন্তান। তবে ২০১৫ সালে মারণ রোগ ক্যান্সার প্রাণ কেড়ে নেয় পরিচালকের। অভিনেত্রীর জীবনে নেমে আসে চরম অন্ধকার। আপাতত দুই ছেলেকে নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছেন বিজয়েতা।