Papiya Paul

কখনও বৃষ্টির শব্দ, কখনও খালি বোতলে ফুঁ, রইল প্রিয় ‘পঞ্চম দা’-র জীবনের অজানা কাহিনী

হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে সব সময় লেখা থাকবে তার নাম, তিনি হলেন রাহুল দেব বর্মন। আজ তার মৃত্যু বার্ষিকী। ১৯৯৪ সালে আজকের দিন এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন সকলের প্রিয় ‘পঞ্চম দা’। আজ তারই মৃত্যুদিনে রইল তার জীবনের অজানা কিছু গল্প।

   

বলিউডে আর ডি বর্মনকে পঞ্চম নামেই ডাকতে পছন্দ করতে সকলে। তার বাবা ছিলেন একজন জনপ্রিয় সুরকার শচীন দেব বর্মন। ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি আশা ভোঁসলে এবং কিশোর কুমারকে দিয়ে একটার পর একটা সুপার হিট গান গাইয়েছিলেন। লতা মঙ্গেসকারের সঙ্গেও বেশ কিছু গান করেছিলেন আর ডি। তিনি এতটাই গান পাগল ছিলেন যে ঘন্টার পর ঘন্টা বৃষ্টি পড়ার শব্দ রেকর্ড করতেন তিনি। কোন সিনেমায় এই শব্দই হয়তো আবহসংগীত হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন বলে।

যে কোন বাদ্যযন্ত্র তার কাছে ছিল ভীষণ আপন। তবলা, ড্রাম, পারকাসন, কঙ্গ এই সবগুলি দিয়েই সুরের ঝড় তুলতে পারতেন তিনি। আবার কখনো কখনো মাউথ অর্গান দারুন বাজাতেন পঞ্চম। কখনো সোডার ফাঁকা বোতল বা খালি গ্লাস, বাটি ইত্যাদি বাজিয়েও এক অন্যরকমের সুর তুলে সেগুলো বিভিন্ন গানে ব্যবহার করতেন তিনি। গায়ক কিশোর কুমারের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল ভীষণ গভীর। তাদের বন্ধুত্ব সম্পর্কে সকলেই জানেন।

‘মেহেবুবা’ ছবির সেই কালজয়ী গান ‘মেরে নয়না শাওন ভাদো’ গানটি প্রথমে গাইতে চাননি কিশোর। কিন্তু আর বর্মনের জোরাজুরিতে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছিলেন। এরপরে ওই গান কি রেকর্ড ভেঙেছিল সেটা সকলেই জানে। তিনি বিভিন্ন ভাষায় প্রায় ৩৩১ টি সিনেমায় সুরকারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অনেক ছবিতে নিজের গলায় গান গেয়েছিলেন। তার সেই গান আজও লোকের মুখে মুখে। মৃত্যুর পরেও সকলের মনে আজও বিরাজমান আর ডি বর্মন ওরফে প্রিয় পঞ্চম দা।