টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়ো পর্দা থেকে দূরে সরে গেলেও টেলিভিশন তাকে যে জনপ্রিয়তা আর ভালোবাসা দিয়েছে তার বোধহয় খুব কম অভিনেত্রীই পেয়েছে। প্রথম যখন ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ শো-র কথা সামনে আসে তখন অনেকেই বলেছিলো এটা রচনার ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সিদ্ধান্তটা যে একেবারেই সঠিক ছিলো তার রচনা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
জনপ্রিয়তা এতোটাই যে বাঙালির সন্ধ্যাকালীন চায়ের টেবিলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এই শো। আর শো-র এই খ্যাতির নেপথ্যে যদি কারো সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থেকে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জির। কিন্তু তা সত্বেও হঠাৎ শাড়ির ব্যবসা কেন খুলেছিলেন অভিনেত্রী? সাল ২০২১-এ সামনে আসে তার ‘রচনা’স ক্রিয়েশন’ নামে শাড়ির বুটিকএর কথা।
বিষয়টা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই শুরু হয়েছিলো সমালোচনা। ‘রচনা’স ক্রিয়েশন’ নামে শাড়ির বুটিক খুলে অনেকেরই বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি সেইসময়। কেউ বলেছিল অভিনেত্রী ‘গরীবের পেটে লাথি’ মারছেন, তো কারও দাবি ছিল গড়িয়াহাটে যে শাড়ি ৬০০ টাকায় পাওয়া যায় রচনার কাছে সেই শাড়ির দামই নাকি ৬০০০ টাকা। এ হেন নানা মন্তব্যে উত্তাল হয়ে উঠেছিলো সোশ্যাল মিডিয়া।
আসলে কোভিড পরবর্তী সময়টাতে ফেসবুকের মাধ্যমেই অনেকে নিজের ব্যবসা খুলে ফেলেছেন। ঘরে বসেই ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকেন তারা। আর তাদের লাইভে অনেক ইউজার যেমন বিরক্ত হন তেমন অনেকেই আবার জিনিসপত্র কেনাকাটাও করে থাকেন। অথচ রচনা ব্যানার্জির লাইভ শো-তে নাকি ভিড় উপচে পড়ছে। আর যারা পেটের টানে এসব করেন, তাদের পাত্তা দেয় না মানুষ।
এমতাবস্থায় অনেকেরই প্রশ্ন ছিলো যে রচনা হঠাৎ শাড়ির ব্যবসায় কেন এলেন? প্রশ্ন এড়িয়ে না গিয়ে অভিনেত্রী জানান, ‘আমি এসব ট্রোলারদের নিয়ে ভাবি না। কারণ কেউ তো আমাকে এক পয়সা দিয়ে হেল্প করবে না। প্রথম কাজে মাত্র ৪০০ টাকা পেয়েছিলাম। আজ আমি যেখানে তার জন্য নিজেই সবটা করেছি। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি যে একটা বয়সের পর বিনোদনের জগতে কাজ কমে যাবে।’
রচনার কথায়, ‘ যখন কাজ থাকবেনা তখন আমাকে তো রোজগার করতে হবে। তাই এখন থেকেই কেন বাছব না বিকল্প পথ।’ আর এই ব্যবসায় নামার আগে তাকে যদি সবচেয়ে বেশি কেউ উৎসাহিত করেছিলো সেটা তার বাবা। আর রচনার বিশ্বাস মহিলারা তার সঙ্গে রিলেট করতে পারে। আর এই বিশ্বাস কিন্তু ভুলো নয়। বর্তমান বাজারে রচনা’স ক্রিয়েশনের রমরমা ভালোই।